রবিবার , সেপ্টেম্বর ২৯ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / বড়াইগ্রাম / নাটোরের বড়াইগ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিকে ফের অনিয়ম, জনদুর্ভোগ চরমে!

নাটোরের বড়াইগ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিকে ফের অনিয়ম, জনদুর্ভোগ চরমে!

নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রামঃ
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় মোট ৩৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক। যার বেশকিছু পূর্ণ হয়ে আছে দূর্নীতি ও অনিয়মে। বেশীর ভাগ এলাকা থেকে অভিযোগ উঠেছে- কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ার প্রভাইডার (সিএইচসিপি) গণ কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা করেন নিজের মতো করে। সরকারি কোন নিয়ম কানুন ধার ধারেন না।

এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে স্বরে জমিনে তিরাইল এবং মাঝগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিকে গেলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। সরকারি নিয়মানুযায়ী সময় সকাল ৯.০০ টা হতে বিকাল ৩.০০ পর্যন্ত কিন্তু গত ৬ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সকাল ১০.০০ ঘটিকায় তিরাইল ক্লিনিকে দেখা মেলেনি কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ার প্রভাইডার (সিএইচসিপি) সজিব কুমার পালের এবং বেলা ২.০০ টায় মাঝগাঁও ক্লিনিকে গেলে ঐ কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ার প্রভাইডার (সিএইচসিপি) মো: ফজলুর রহমান কেও পাওয়া যায়নি। এলাকা বাসীর কাছ থেকে জানা যায়- ফজলুর রহমান সেদিন ক্লিনিকেই আসেন নি। অফিসিয়াল নির্দেশ থাকলেও ক্লিনিকের সামনে ছিলনা কোন নোটিশ। একাধিক দিনেও ক্লিনিকে অনুপস্থিতের সত্যতা পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, গত ২৯/০৮/২০১৯ তারিখে একই উপজেলার নগর ইউনিয়নের দারিখৈইর কমিউনিটি ক্লিনিকের অনিয়ম ও দূর্ণীতি বিষয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পরে ঐ ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ার প্রভাইডার (সিএইচসিপি) খায়রুল ইসলাম মানিকের বিরুদ্ধে তদন্ত হয় এবং অপরাধ প্রমানিত হলে তাকে পাবনাতে বদলি করা হয়। এই ঘটনার পরে কিছুদিন সকল কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়মের মধ্যে চললেও বর্তমানে সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা করছে না এই দুই কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ার প্রভাইডার (সিএইচসিপি)। একাধিক সূত্রে জানা যায়- এই দুই কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ার প্রভাইডার (সিএইচসিপি), দারিখৈইর কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ার প্রভাইডার (সিএইচসিপি) খায়রুল ইসলাম মানিকের একান্ত সহযোগী হিসেবে পরিচিত।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে কমিউনিটি ক্লিনিকের আন্দোলনের নামে প্রত্যেক কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ার প্রভাইডার (সিএইচসিপি) এর কাছ থেকে জন প্রতি হাতিয়ে নেয়া হয় প্রায় ৫ হাজার টাকা। এছাড়াও রিট বানিজ্য করে ৩৫ জন কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ার প্রভাইডার (ডগএইচডগডঈ) এর কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয় জন প্রতি ৬,৫০০ টাকা করে।

মুঠোফোনে প্রায় সকল (সিএইচসিপি) র সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা সকলেই টাকা আত্মসাতের বিষয়টি নিশ্চিত করে তদন্তের দাবি করে বলেন- সবুজ কুমার পাল এবং ফজলুর রহমান এর সহযোগীতায় সাবেক সভাপতি খায়রুল ইসলাম মানিক সবার সরলতার সুযোগ নিয়ে আন্দোলন এবং রিট এর নামে হাতিয়ে নেয় মোটা অঙ্কের টাকা। বর্তমানে সকল ভুক্তভোগী কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ার প্রভাইডার (সিএইচসিপি) রা টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন অযুহাতে এড়িয়ে যান তারা। শুধু তাই নয়- নিজ উপজেলাসহ নাটোর জেলার প্রায় সকল উপজেলা থেকেও বিভিন্ন অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ও উঠেছে।

আরও দেখুন

বড়াইগ্রামে আ’লীগ-বিএনপি’র সংঘর্ষ, আহত ৯, বাড়ি-ঘর ভাংচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রাম :নাটোরের বড়াইগ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি সমর্থিত কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে …