নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ কমাতে কঠোর বিধিনিষেধ এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে নাটোরের বিভিন্নস্থানে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ১৫ টি মামলায় ৭হাজার ৭শ টাকা জরিমানা করা হয়।
লালপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কঠোর বিধিনিষেধ এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খালিদ হাসানের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় ৫ টি মামলায় ৬ ব্যক্তিকে ৪ হাজার ৫শ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। লালপুর থানা সহযোগিতা করেন। লকডাউন কার্যকর ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া, আহমদপুর, মৌখারা, লক্ষ্মীকোল বাজারে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুমা খাতুনের নেতৃত্বে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা। এসময় স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় দণ্ডবিধির ২৬৯ ধারায় ৫টি মামলায় ১ হাজার ২শ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
লকডাউন নিশ্চিতকরণে নাটোর সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। সরকারী নির্দেশ অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় এবং স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে মাস্ক পরিধান না করায় দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ও ২৬৯ ধারায় মোট ৪ টি মামলায় ১ হাজার ৬শ টাকা জরিমানা করা হয়। চলমান লকডাউন ও বিধিনিষেধ কার্যকর করতে নলডাঙা উপজেলার বাসুদেবপুর, নলডাঙা, বাঁশভাগ, পাটুল, বাশিলা ও সোনাপাতিল বাজারে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শওকত মেহেদী সেতুর নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অধিকাংশ স্থানে দোকানপাট বন্ধ ও ন্যূনতম জনসমাগম পরিলক্ষিত হয় । অভিযানকালে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় ১টি মামলায় ২ জনকে ৪শ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খালিদ হাসানের নেতৃত্বে নাটোর পৌরসভার নীচাবাজার এবং স্টেশন বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ক্রেতা বিক্রেতাকে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন বিষয়ে সতর্ক করা হয়। সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ এবং রোভার্স স্কাউট অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন।