নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগাতিপাড়াঃ
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় জিগরী উচ্চ বিদ্যালয়ে অর্থের বিনিময়ে মনোনিত পার্থীকে গোপনে নিয়োগ প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উসমান গণির বিরুদ্ধে। রবিবার এমন অভিযোগ করেন নিয়োগ পরিক্ষায় অংশ নিতে আসা পরিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, উপজেলার জিগরী উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা গত ২০১৯ সালের ১২ সেপ্টম্বর । তারই প্রেক্ষিতে ১৫শ টাকার অফেরৎযোগ্য পে-অর্ডারসহ আবেদন করেন ১৪ জন পার্থী। পরে যাচাই বাছাই শেষে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে ১৪ জনকে প্রবেশ পত্র প্রদান করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর পর পরীক্ষায় অংশ নিতে এসে পার্থীরা পড়েন বিপাকে। ইতোপূর্বে অদৃশ্য কারণে দুইবার পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত রবিবার তৃতীয় বারের মতো আবারও নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে এসে বিকেল দুইটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে ফিরে যায় পরিক্ষার্থীরা।
নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা মুক্তার হোসেন জানান, অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের জন্য উসমান গনি দুই বছর আগে তার কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে। কিন্তু তাকে নিয়োগ না দেয়ায় টাকা ফেরত চাইলেও টাকা দিতে গড়িমসি করছে।
ক্ষিদ্র মালঞ্চী গ্রামের আব্দুর রহীম, বলেন ইতি পূর্বেও নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে তিনি এসেছিলেন কিন্তু উসমান গণি গোপনে একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করেছে। তার মনোনিত পার্থীকে নিয়োগ প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে তারা বিভিন্ন টালবাহানা করছেন। তিনি আরও বলেন সরকারী বিধি মোতাবেক যেন নিয়োগ সম্পন্ন করা হয় সে ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
এ ব্যাপারে জিগরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও নিয়োগ পরীক্ষার সদস্য সচিব লোকমান হোসেন বলেন, অফিস সহায়ক পদে লোক নিয়োগের পরীক্ষার দিন নির্ধারন করা হলেও বিভিন্ন কারণে ইতিপূর্বে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। রবিবার পরীক্ষা গ্রহণের কথা থাকলেও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওসমান গণি এবং সদস্য সাইফুল ইসলাম অনুপস্থিত থাকায় বিকেল চারটা পর্যন্ত অপেক্ষা করি। এছাড়া সভাপতির সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করে না পাওয়ায় নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও এক জন সদস্য অনুপস্থিত থাকায় নির্ধারিত দিনে পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব হয়নি বলে নিশ্চিত করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আহাদ আলী ।