নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় তিনটি বেকারিতে অভিযান চালিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার দুপুর একটা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত বাগাতিপাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেকারিগুলোতে এই অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এই অভিযানে তিনটি বেকারিকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ মালামাল মজুদ রাখা এবং ক্ষতিকারক রং মেশানোর অপরাধে আশি হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় সিপিসি-২, নাটোর র্যাব ক্যাম্পের প্রেরিত এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সিপিসি-২, নাটোর র্যাব ক্যাম্পের একটি বিশেষ অপারেশন দল এর নেতৃত্বে ৩১ অক্টোবর শনিবার দুপুর একটা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত বাগাতিপাড়া উপজেলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ মালামাল মজুদ রাখা এবং ক্ষতিকারক রং মেশানোর অপরাধে ১০ লিটার ক্ষতিকারক গন্ধক ১হাজার কেজি ভেজাল বিস্কুট ৫০০ গ্রাম ক্ষতিকারক খাবারের রং, ১ কেজি বেকিং পাউডার, ৪০ কেজি ভেজাল চানাচুর, ১হাজার পিস ভেজাল মিষ্টি সিংগারা, ৫ লিটার স্যাকারিন, ১হাজার পিস ভেজাল রিং মিষ্টি সহ মালঞ্চি এলাকার ভাই ভাই বেকারীর আসাদুল ইসলামের ছেলে রাসেল রানা (২২), দয়ারামপুর এলাকার শাহ আলম বেকারীর মালিক তছের মন্ডলের ছেলে নজরুল ইসলাম, তমালতলা এলাকার আজিজুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪০), কে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে হাজির করা হয়।।
এসময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা দেবী পাল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ভাই ভাই বেকারীর মালিক রাসেল রানাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩০ দিন বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন, আনোয়ার হোসেনকে বিশ হজার টাকা, শাহ আলম বেকারীকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে জব্দকৃত ভেজাল পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ভাই ভাই বেকারীর মালিক রাসেল রানা জরিমানার জরিমানা প্রদান না করায় তাকে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।