নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রামঃ
নাটোরের বড়াইগ্রামে আম্পান ভেঙ্গে দিল ধান চাষী নুর আলমের স্বপ্ন। উপজেলার জোয়াড়ি ইউনিয়নের ভবানীপুর কাচারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা নুর আলম সফলতার স্বপ্ন নিয়ে শুরু করেছিলেন ধান চাষ। নিজের জমা জমি ছিলনা তাই অন্যের জমি বর্গা নিয়ে তার এই পথচলা শুরু করে দু’বছর বছর আগে। কিন্তু হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে সব লন্ড ভন্ড করে দিল। বর্গা চাষি নুর আলমের দুচোঁখ ভরা স্বপ্ন এখন অশ্রুসিক্ত। কিভাবে কাটবে তার আগামী দিনগুলো?
নুর আলম ভবানীপুর গ্রামের বিভিন্ন জনের মালিকানা জমি থেকে ৯ বিঘা জমি বাৎসরিক ১৫ হাজার টাকা নগদ খাজনায় বন্ধক নিয়ে ধান চাষ শুরু করেন। এবারও তিনি ইরি ও বোরো ধান আবাদ করেছিলেন, কিন্তু লাভের মুখ দেখতে না দেখতেই আম্পান কেড়ে নিল তার স্বপ্ন।
তিনি জানান -ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে আমার ধান ক্ষেত একেবারে পানির নিচে ডুবে ধ্বংস হয়ে গেছে। আমার প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে, আমি এখন নিঃস্ব। এখন কি করে তার দিন কাটবে আর কিবা খাবে ছেলে সন্তান দের নিয়ে, পাশে দাড়াবার কেহই নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মাঠের মধ্যে শুধু মরুভূমি পানির নিচে ডুবে আছে ধানগুলো আর চাষির চোখে পানি হাউমাই করে কাঁদছে।
ভবানীপুর ওয়ার্ড মেম্বার কামাল হোসেন জনান- নুর আলমের ধানক্ষেতের যে ক্ষতি সাধন হয়েছে তা অনেক বেশি। সরকারিভাবে তাকে সহযোগিতা না করলে সে যেকোন সময় এক্সিডেন্ট করতে পারে। প্রায় লক্ষাধিক টাকার উপরে ক্ষতি হয়েছে তার।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইকবাল আহমেদ জানান- আমদের বড়াইগ্রাম উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারনে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অনেক জায়গা আমরা পরিদর্শন করেছি তবে সরকারি প্রনোদনা আসলে ক্ষতিগ্রস্থ চাষিদের বিষয়টি সর্বাগ্রে বিবেচনা করা হবে।
আরও দেখুন
সিংড়ায় যৌথবাহিনীর ব্যাপক তল্লাশি
নিজস্ব প্রতিবেদক,,,,,,, সিংড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালায় যৌথবাহিনী। এসময় তাদের মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, কাভার্ড …