নিজস্ব প্রতিবেদক,গুরুদাসপুর:
নাটোরের গুরুদাসপুরে গৃহবধু সীমা খাতুন হত্যা মামলার পলাতক মুল অভিযুক্ত স্বামী রতন আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।আজ বুধবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে এই মামলার আসামী নিহতের শ্বশুড়, দেবর ও ভাসুরকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার কর্মকর্তা মনোয়ারুজ্জামান জানান, ১২ বছর পূর্বে উপজেলার মশিন্দা বাহাদুরপুর গ্রামের ইউসুফ প্রাং এর ছেলে রতন আলীর সাথে একই ইউনিয়নের রাণীগ্রামের সীমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় সীমা খাতুনকে নির্যাতন করতো শ্বশুড় বাড়ীর লোকজন। তাদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেয়ে সীমা খাতুন তার ভাইয়ের কাছ থেকে কয়েকবার টাকা নিয়ে এসে দিয়েছে তাদের। এভাবে তাদের নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেলে সীমা খাতুন আর কোন টাকা এনে দিতে পারবেনা বলে জানায়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর স্বামী,শ্বশুড়, ভাসুর ও দেবর সহ অন্যরা সীমা খাতুনকে মারধর করে। এ সময় সীমা খাতুন অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ীতে নিয়ে আসে। এর কিছুক্ষন পর সীমা বিষ খেয়েছে বলে বলে পুনরায় তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সীমা খাতুনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সীমা খাতুনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সীমা খাতুনের ভাই রুবেল আহমেদ বাদী হয়ে সীমা খাতুনের স্বামী,শ্বশুড়,ভাসুর ও দেবর সহ আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাত করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক ছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনার পরদিন নিহতের ভাসুর স্বপনকে বাহাদুরপুর ও গত সোমবার রাতে শ্বশুড় ইউসুফ প্রাং এবং দেবর শিপন প্রাং কে পাবনার চাটমোহর থানার ছাইকোলা মিলনচর এলাকা থেকে তাদেও গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে গ্রেফতারকৃত রতন আলীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এনিয়ে মামলায় মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।