নিজস্ব প্রতিবেদক,গুরুদাসপুর:
নাটোরের গুরুদাসপুরে স্বামীর বিরুদ্ধে সীমা খাতুন (২৮) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার শিকারপুর বাহাদুরপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত সীমা খাতুন একই উপজেলার রানীগ্রাম ফকিরপাড়া এলাকার আছাদ আলীর মেয়ে এবং বাহাদুরপাড়া গ্রামের রতন ওরফে কালু মিয়ার স্ত্রী।
গুরুদাসপুর থানার উপ-পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে সীমা খাতুনকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে তার স্বামীসহ শ্বশুড়বাড়ির লোকজন। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসাসহ সীমা খাতুনের মাথায় কয়েকটি সেলাই দেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে সীমা খাতুন সহ সবাই বাড়ি চলে যায়। এর কয়েকঘন্টা পরে আবার সীমা খাতুনকে পুণরায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে তার শরীরে বিষের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
দ্রুত তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। রাজশাহী নেওয়ার পথে রাতে সীমা খাতুন মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই রুবেল আহমেদ বাদি হয়ে সীমার স্বামী কালুসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর অভিযান চালিয়ে মুল অভিযুক্ত কালুর চাচাতো ভাই মামলার ৪ নম্বর আসামী স্বপন প্রামানিককে গ্রেফতার করা হয়। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে সীমা খাতুনের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।