নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর
সরকারী কোন অনুমোদন ছাড়াই নাটোরের গুরুদাসপুরের একটি বিদ্যালয়ের প্রায় ৩৫ বছরের পুরাতন পাঁচটি তরতাজা মেহগিনি গাছ কেটে ফেলেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, এমন অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৪১ নম্বর চাপিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
জানা গেছে, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের ৪১ নম্বর চাপিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৩৫ বছর পূর্বে ৮৫ সালের দিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়টির মাঠের পুর্বপাশের সীমানা সড়ক ঘেঁষে গাছগুলো রোপন করেছিলেন। সময়ের সাথে সাথে গাছগুলো বেড়ে পরিপক্ক হয়ে উঠেছে। এতে পরিবেশ ও বিদ্যালয়ের সোন্দর্য্য বৃদ্ধি হয়েছিল। বেড়ে ওঠা সারিবদ্ধ গাছগুলো কেটে ফেলা হলো।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য জানান, তিনিসহ প্রশাসনের কেউ গাছগুলো কাটার ব্যাপারে কিছু জানেনা। তিনি মনে করেন এই গাছগুলো অন্যায় ও অবৈধভাবে কাটা হয়েছে।
এলাকাবাসী বলেন, এই গাছগুলো তারা ছোট বেলা থেকেই দেখছেন। গাছগুলো বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছায়া দিচ্ছিলো। কিন্তু হঠাৎ করেই অবৈধভাবে গাছগুলো কাটা হয়েছে। প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে বন কর্মকর্তার মাধ্যমে গাছের মূল্য নির্ধারন করা ও টেন্ডারের মাধ্যমে উম্মুক্ত ডাকে গাছগুলো বিক্রি কাটা উচিত ছিলো।
এগুলো সরকারী গাছ। সরকারী বিধিমালা মেনেই গাছগুলো কাটতে হবে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক এভাবেই গাছগুলো কেটে ফেললো। এটা উচিত নয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি।
তবে প্রধান শিক্ষকের দাবী অনুমতি নিয়েই বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে গাছগুলো কাটা হয়েছে। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে তাদের একটি বহুতল ভবন নির্মান করা হবে। ভবন র্নিমান কাজে গাছগুলো বাধা সৃষ্টি করে। এজন্য বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গাছগুলো কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আর স্থানীয় প্রশাসন বলছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।