নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের গুরুদাসপুরে মনোয়ার হত্যা মামলা মূল অভিযুক্ত মোঃ হায়দার আলী (২৩)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব। আজ ২জুন রোববার রাত পৌনে চারটার দিকে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার গাংনী উত্তর পাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। হায়দার আলী গুরুদাসপুর উপজেলার কুমারখালী গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে।
র্যাবের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, গত ২৩ মে বিকেল ৪ টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার কুমারখালী গ্রামে জনৈক আব্দুস সালাম এর সাথে একই গ্রামের হায়দার আলীর জমি জমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রথমে তর্ক বিতর্ক হয়। এ সময় গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় আব্দুস সালামের ছেলে মনোয়ার হোসেন ও ভাগিনা রেজাউল করিমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হায়দার আলী। এই ঘটনায় মনোয়ার এবং রেজাউল গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
এসময় এলাকাবাসী এবং পরিবারের লোকজন মনোয়ার এবং রেজাউলকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মনোয়ারকে মৃত ঘোষণা করে। সেই সাথে রেজাউল করিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এই ঘটনায় মনোয়ারের বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে হায়দার আলীসহ ৩জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে। এরপরেই অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামীদের গ্রেফতারের জন্য র্যাব-৫ সিপিসি-২, নাটোরকে অধিযাচনপত্র প্রদান করেন। এর প্রেক্ষিতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধিসহ ছায়াতদন্ত শুরু করে। র্যাব গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের অবস্থান সনাক্ত করে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাংনী উত্তরপাড়া থেকে হায়দার আলীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরে গ্রেফতারকৃত হায়দার আলীকে গুরুদাসপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। উল্লেখ্য ইতিপূর্বে পুলিশ হায়দারের বাবা আশরাফুল ইসলাম এবং হায়দারের মাকে গ্রেফতার করে।