নিজস্ব প্রতিবেদক:
একটা সময় ছিল যখন কিশোর-কিশোরীরা বিকেল হলেই বেরিয়ে পরতো ঘুড়ি ওড়াতে, যা অনেকটাই বিলীন হয়ে পরেছিলো। তবে বর্তমানে এমন সময়ে ঘুড়ি বানানো ও ওড়ানোর এমন দৃশ্যে আগের ঐতিহ্য যেন ফিরে এসেছে। জনজীবনে স্বস্তির এক ছোঁয়া নিয়ে নাটোরের আকাশে উড়ছে বাহারি রঙ্গের ঘুড়ি। লাল- নীল -সাদা-কালো-হলুদ-খয়েরি -এ যেন প্রকৃতির এক অবাক করা মনোরম দৃশ্য। বিকেল হলেই নাটোরের হালতিবিলসহ বিভিন্ন গ্রামগঞ্জের মাঠে, প্রান্তরে,চলছে ঘুড়ি ওড়ানোর এক অন্যরকম আয়োজন। হাতে লাটাই আকাশে ঘুড়ি,দল বেঁধে লাইনে দাঁড়িয়ে চলছে ঘুড়ি ওড়ানোর ধুম। এ যেন বাংলার অপরুপ সৌন্দর্যে শোভিত এক রঙিন পরিবেশ। সেই দৃশ্য উপভোগ করছে জনসাধারণ। ছোট, বড়, লম্বা, চিকন, অনেক রকম ঘুড়ি উড়ছে আকাশ জুড়ে । তাছাড়াও জনগনকে বিনোদন দিতে কেউ কেউ ঘুড়ি ওড়ানোর টিম বানিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে তৈরি করছে, বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ি। ঘুড়ি ওড়ানোর এমন আয়োজনে বিমোহিত এখন জনসাধারণ।
অনেকে-ঘুড়ি ওড়ানোর এমন আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, অনেক সময়ই দেখা যায় শহর কিংবা গ্রামে ঘুড়ি উড়ানোর সময়-সেটা বিদ্যুৎ লাইনের কাছাকাছি চলে আসে। বিষয়টি নিয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। অনেকে বলেন, ঘুড়ি ওড়ানোর এই আয়োজন অনেকটা স্বস্তি এনে দিয়েছে মানুষের মনে। তাছাড়া বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের মধ্যেও ব্যাপকভাবে সারা জাগিয়েছে, ঘুড়ি ওড়ানোর এমন আয়োজন। যান্ত্রিক জীবনে সবাই যখন ব্যস্ত তখন ঘুড়ি ওড়ানোর এমন প্রয়াসকে ইতিবাচক ভাবেই দেখছেন সর্বস্তরের জনসাধারণ।