ছায়া সঙ্গী
একটা বিষন্ন দুপুর!
একটা একাকী জীবন!
একটা একলা আমি তুমি !
একটা একাকী নির্জনতা!
নিজের ছায়া শরীরে তাকিয়ে নিজেই আঁতকে উঠা,
একি আমি, তুমি,
না-কি অন্য কেউ!
রোদের আরশিতে ঘাড় ফিরিয়ে নিজেকেই দেখা,
নিজেতেই নিজের সন্ধি বিচ্ছেদ!
একটা দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই, ছায়ারা পালায়।
ছায়া সঙ্গী ছেড়ে যায় আপন আলয়।
আদৌ কী আপন!
আপন কী কেউ কখনও ছেড়ে যায়!
আহা!
কী নিদারুণ বিতণ্ডতা জীবনের!
যে তোমাকে আশ্রয় করে যাপন করে জীবন,
সেই কি-না তোমায় ছাড়ে।
যাকে আঁকড়ে ধরে বসত করে আপন মন তোমার আমার,
সে-ই কিনা সময়ের হাত ঘড়িতে আমাদের চোখ বেঁধে পালিয়ে যায়।
আর তখনই নিজের ঘোষিত, অঘোষিত ছায়ারা,
আঁতকে দেয় আমাদেরে।
আমরা ভয় পাই আমাদেরই একান্ত ছায়া সঙ্গীকে।
কোলাহলের শহরে ছায়ারা পালায় পিছু পিছু,
আমরা আমাতে হারাই।
জীবনকে জীবনের দামে কিনে নিয়ে,
কেউ কেউ অনায়াসে বিক্রি করে দেয় চোর বাজারে।
অথবা নিলামে তুলে দিয়ে,
মাথা উঁচু করে হাঁটে নির্লজ্জের মুকুট পরে।
এভাবেই ছায়ারা আমাদের চমকে দিয়ে,
থমকে দিয়ে,
আমাদেরে তাড়িত করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘোষণা পত্রের নীল নকশায়।
আমরাও কেমন আবর্তিত থাকি ছায়া সঙ্গীর অমীমাংসিত,
ঘটমান বর্তমানে।
লেখিকা: নাজনীন নাহার