নিজস্ব প্রতিবেদক, নলডাঙ্গা:
উজানের ঢল ও টানা প্রবল বর্ষণে নাটোরের নলডাঙ্গা পয়েন্টে বারনই নদীর পানি বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২৪ জুলাই শুক্রবার সকাল ৬ টায় উপজেলার নলডাঙ্গা হাট পয়েন্টে বারনই নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান।
এতে প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকার নিম্নঞ্চল প্লাবিত হয়ে নদী রক্ষা কয়েকটি এলাকার বাঁধে দেখা দিয়েছে ফাটল এবং নদীপাড়ের দুই শতাধিক বসতবাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় বাড়িঘর ছেড়ে এসব পরিবার আশ্রায় নিচ্ছে আত্মীয় ও স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আস্থায়ী আশ্রায়কেন্দ্রেগুলোতে।
অপর দিকে পানি হুঁ হুঁ করে বেড়ে হালতি বিলের বন্যা পরিস্থিতি দিনদিন খারাপ হচ্ছে। এতে উপজেলার ব্রহ্মপুর, মাধনগর, খাজুরা, পিপরুল ইউনিয়ন ও নলডাঙ্গা পৌরসভার একাংশ বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। মাধনগর ইউনিয়নের ভট্রপাড়া, নুড়িয়াগাছা, তেঘরিয়া, বাঁশিলা, বিলজোয়ানী গ্রামের কয়েক শতাধিক পরিবার, পিপরুল ইউনিয়নের ভুষণগাছা, আচঁড়াখালি, কালিগঞ্জ, পাটুল গ্রামের দেড় শতাধিক পরিবার, খাজুরা ইউনিয়নের চাঁদপুর, পারবিশা, মিরপুর, পারকুল, তেলিপাড়া গ্রামের ২ শতাধিক পরিবার পৌরসভার সোনাপাতিল গ্রামের শতাধিক পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
এসব এলাকার ১৩০ টি পুকুর ডুবে ৬০ মেট্রিক টন মাছ, ২৮ লক্ষ পোনা মাছ ভেসে মোট ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার। বন্যার পানিতে ডুবে গেছে পাট, আমন ধানসহ সবজি ক্ষেত। উপজেলা কৃষি অফিসার আমিরুল ইসলাম জানান, আউশ ধান ৪৫ হেক্টর রোপা আমন ধান সাড়ে ১৫ হেক্টর ও সবজি সাড়ে ৯ হেক্টর বন্যায় ক্ষতি হয়েছে। এতে মোট ৮৩ লক্ষ ৬০ হাজার ২০০ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে ত্রাণ সহয়তা কার্যক্রম শুরু করেছেন। ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ইতিমধ্যে ৬ মে: টন চাল ও নগদ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আরো বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
আরও দেখুন
সিংড়ায় যৌথবাহিনীর ব্যাপক তল্লাশি
নিজস্ব প্রতিবেদক,,,,,,, সিংড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালায় যৌথবাহিনী। এসময় তাদের মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, কাভার্ড …