নিজস্ব প্রতিবেদক,নলডাঙ্গা:
নাটোরের নলডাঙ্গায় বৃষ্টি খাতুন নামের এক এনজিও কর্মী আত্মহত্যা করেছে।শনিবার রাত ২ টার দিকে স্বামী স্ত্রীর দাম্পত্য কলহের জের ধরে বৃষ্টি কীটনাশক গ্যাস ট্যাবলেট আত্মহত্যা করে।এঘটনায় এনজিও কর্মির স্বামী পিন্টু সরদার কে আটক করেছে পুলিশ।নিহত বৃষ্টি খাতুন (২৮) উপজেলার পশ্চিম মাধনগর দীঘিপার গ্রামের পিন্টু সরদারের স্ত্রী ও বেসরকারী এনজিও সংস্থা গ্রামীণ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মাঠ কর্মী।আটক পিন্টু সরদার (৩০) একই এলাকার সেফাত উল্লাহ ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার পশ্চিম মাধনগর দীঘির পার গ্রামের কাঠ মিস্ত্রি পিন্টু সরদারের স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন বেসরকারি এনজিও সংস্থা গ্রামীণ কল্যাণ ফাউন্ডেশন মাধনগর শাখায় স্বাস্থ্য কর্মি হিসেবে মাঠ কর্মীর চাকরি করছিল।তার স্বামী পিন্টু সরদার তার স্ত্রী বৃষ্টিকে পরকীয়ার অভিযোগ এনে সন্দেহ করে মাঝে মধ্যে মারধর করতো।গত ১২ জুন শুক্রবার দুপুরে একই অভিযোগ এনে বৃষ্টিকে মারধর ও নির্যাতন করলে ক্ষোভ ও রাগে কীটনাশক গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ্য হয়।অসুস্থ্য অবস্থায় পরিবারের লোকজন প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।সেখানেই রাত ২ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃষ্টি খাতুন মারা যায়।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান,পরকীয়ার অভিযোগে এনজিও কর্মি বৃষ্টিকে মারধর ও নির্যাতনের করতো কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে কীটনাশক গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় নিহত বৃষ্টির বাবা আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে নলডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্ততি নিচ্ছে।রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরদেহের ময়না তদন্ত শেষ করা হয়েছে।
ওসি নজরুল ইসলাম নিহতের স্বামী পিন্টুকে আটক করা হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে কোন তথ্য দিতে রাজি হয়নি।