নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,নাটোরের নলডাঙ্গায় বিগত ১০ বছরে কমেছে ৭৮৭ বিঘা কৃষি জমি। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে,প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে নির্বিচারে পুকুর খনন ও অন্যান্য স্থাপনা ও ফসলি জমিসহ পুকুর সংস্কারের নামে নির্বিচারে চলছে পুকুর খননের ফলে কমে গেছে কৃষি জমি। নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়,২০১৪ সালে উপজেলায় কৃষি জমির পরিমান ছিলো ১৪ হাজার ৬৫ হেক্টর,যা কমে ২৪ সালে দাড়িয়েছে ১৩ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমি। সেই সাথে সংকুচিত হয়েছে দেশের গভীরতম হালতিবিল। উপজেলায় পুকুর খননের মহোৎসব চললেও তা কিছুতেই রোধ করা যায়নি। অভিযোগ উঠেছে,প্রশাসনের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারির পরোক্ষ যোগসাজসে চলেছে এমন অপকর্ম। আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে পুকুর খনন করায় কমে যাচ্ছে আবাদী জমি। এতে কৃষি জমিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতাসহ চাষাবাদের স্থায়ী ক্ষতির সম্মুক্ষিন হচ্ছেন কৃষকরা এবং পাকা সড়কে পুকুরের মাটি পরে পরিনত হয়েছে কাঁচা সড়কে। ফসলি জমিতে পুকুর খননে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সে আইনের তোয়াক্কা করেনি কেউই। ফলে আবাদী জমির পরিমান কমে যাওয়া সহ খননকৃত পুকুরের পাশে শত শত বিঘা জমিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টির আশংঙ্খা দেখা দিয়েছে। এছারা ইচ্ছেমতো নষ্ট করা হচ্ছে দেশের সবচেয়ে গভীর জলাশয় হালতিবিলকে। বিলের ঠিক মাঝখানে ঠাঁই দাঁড়িয়ে রয়েছে জাহাজ আকৃতির ওয়েসিস হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এবং এখনও বিলে কৃষিতে স্থাপনা নির্মান করা হচ্ছে। সে সময় স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি বিলপারের মানুষ বাধা দিলেও নেতাদের দাপটে,সেটা আর থামানো যায়নি। যার ফলে বিলের স্বাভাবিক নৌ চলাচলে বাধাগ্রস্তের পাশাপাশি নস্ট করা হয়েছে কৃষি জমিকে। বর্ষাকালে দেশী প্রজাতির অন্তত শতাধিক প্রজাতির মাছের আধার তৈরী হয় এই হালতিবিলে। উন্মুক্ত জলাশয় থেকে মাছ শিকার করে জীবন,জীবিকা চলে বিল দুটির অন্তত লক্ষাধিক মানুষের। কিন্তু বিলের মাঝখানে -বেসরকারী এমন স্থাপনায় পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্তের পাশাপাশি মাছের স্বাভাবিক প্রজনন নষ্ট করছে। এতে করে ব্যহত হচ্ছে মাছ উৎপাদনে। বর্তমানে উপজেলায় পুকুর রয়ে সাড়ে ৩ হাজার। যার মধ্য বিপ্রবেলঘরিয়া ও পিপরুল ইউনিয়নে বেশি। হালতিবিলের যে অর্থণৈতিক গুরুত্ব,তা হয়তো দিন দিন শেষ করা হচ্ছে এমন সব স্থায়ী অবকাঠামো তৈরী করে। পুকুর খনন বন্ধে বিগত সময়ে কৃষকরা মানববন্ধনের মত প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করলে বন্ধ হয়নি নির্বিচারে পুকুর খনন। নির্বিচারে পুকুর খনন ও স্থানী স্থাপনা নির্মানের ফলে প্রভাব পড়ছে বিলের অঞ্চলের নানা পেশার মানুষের ওপর। তাই উপজেলায় ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ ও হালতি বিল রক্ষায় নতুন আর কোন স্থাপনা নির্মাণ না করে হালতিবিলকে সংকটাপন্ন হিসেবে ঘোষণার দাবি বিল পারের মানুষের। স্থানীয় এলাকাবাসীরা ও নলডাঙ্গা উপজেলার কৃষক পাভেল হোসেন,কার্তিক চন্দ্র,সন্তেষ প্রামানিক,সুনিল চন্দ্র,মিন্টু,মনুসহ অনেকে জানান,নলডাঙ্গা উপজেলার হাজার হাজার কৃষকের সংসার চলে মাঠের ফসল উৎপাদন করে। পুকুর খনন করার কারনে সড়কের বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। উপজেলার কিছু প্রভাবশালীর কারণে মাটি ব্যবসায়ীরা এসব কাজ করে থাকে জরুরী ভাবে প্রশাসনের কাছে দাবি হালতিবিলসহ উপজেলার কোথাও যেন কোন ভাবেই পুকুর খনন করতে দেওয়া না হয়। নাটোর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান,হালতিবিলে গড়ে ওঠা ওয়েসিস হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের কতৃপক্ষকে কারণ দশানোর নোটিশ দিয়েছে দেওয়া। তারা জবাবও দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উধর্তন কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উপজেলা মৎস্য অফিসার সজ্ঞয় কুমার বলেন, উপজেলায় পুকুর রয়েছে সাড়ে ৩ হাজার। উপজেলায় ৫টি ইউনিয়নের সবচেয়ে বেশি পুকুর রয়েছে বিপ্রবেলঘরিয়া ও পিপরুল ইউনিয়নে। নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার কিশোয়ার হোসেন বলেন,জমি কমে যাওয়ার কারণে,সেই ক্ষতিটি পূরন ও খাদ্যের ঘাড়তি পূরণের জন্য,নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কৃষি বিভাগ কৃষকদের সাথে কাজ করছে।
