এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় গত ২ অক্টোবর রাত আনুমানিক নয়টার সময় আওয়ালের চাচাত ভাই জাহাঙ্গীরের ঘরে তার’ই স্ত্রী সালমার সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকাকালে জাহাঙ্গীর তাদের হাতেনাতে ধরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দু’জনকে সারারাত একই ঘরে আটকে রাখে । পরের দিন ৩ অক্টোবর সকালে স্থানীয়ভাবে সালিশী বৈঠকের মাধ্যমে জাহাঙ্গীর তার স্ত্রীকে তালাক দিলেও বিচার হয়নি আওয়ালের । স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নাজমুল বলেন, লোক মুখে শোনা কথা, বিগত প্রায় কয়েক বছর ধরে আওয়াল ও তার ভাবি সালমার মধ্যে এই অনৈতিক সম্পর্ক চলে আসছে। ইতিপূর্বেও বেশ কয়েকবার তারা ধরা পড়লেও লোক জানাজানি না হওয়ায় বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে থাকে। নাজমুল আরও বলেন , আমি যখন সেখানে যাই– ততক্ষণে সালিশি বৈঠক শেষ হয়ে গিয়েছিল । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন লক্ষ টাকার ওপরে লেনদেনের মাধ্যমে মেয়ের অভিভাবকের উপস্থিতিতে জাহাঙ্গীর তার স্ত্রীকে তালাক দিলেও কোন শর্ত ছাড়াই ছেড়ে দেওয়া হয় আওয়ালকে। এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন ভাবে শালিস করা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে ।এমন খবর শোনার পর মুঠোফোনে আওয়ালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বড়ভাই ফোন রিসিভ করে বলেন – এটা এমন কোন বিষয় না যে কাউকে বলতে হবে। বিষয়টি নিয়ে নলডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহব্বায়ক সুমনের জানায়- ছাত্রদলে চরিত্রহীন কারো জায়গা নেই , ঘটনাটি সত্য হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে ।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মৃধা বলেন,এই বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ আসেনি। কেউ অভিযোগ করলে অবশ্যই প্রচলিত আইন অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।