নিজস্ব প্রতিবেদক,নন্দীগ্রাম (বগুড়া):
উত্তরবঙ্গের রাজধানী খ্যাত বগুড়া। এই বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের মুরাদপুর দিয়ে বয়ে গেছে ভদ্রাবতী নদী। মুরাদপুর বাজারে অবস্থিত নন্দীগ্রাম-শেরপুর রাস্তার সংযোগ সেতুর দক্ষিণে ৩ কিলোমিটার ও উত্তরে ৩ কিলোমিটার এ নদীর দুই তীরের গাছপালাগুলো এমনভাবে দাঁড়িয়ে আছে যা দেখে মনে হবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নীলাভূমি পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের মাঝেই রয়েছি।
এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন শতশত দর্শনার্থী মুরাদপুর ভদ্রবতী নদীর পাড়ে এসে ভিড় করছে। নন্দীগ্রাম উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার ও শেরপুর উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মুরাদপুর বাজার। নদীর পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে এই সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। নন্দীগ্রাম, শেরপুর, বগুড়া সদর ও নাটোরের সিংড়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন শতশত দর্শনার্থী এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসে মুরাদপুর বাজারে। সকালে দর্শনার্থী কম আসলেও বিকেলে মুরাদপুর বাজারে উপচে পড়া ভিড় জমে। নৌকা নিয়ে সুন্দরবনের মতো সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য প্রতিজনের নৌকা ভাড়া দিতে হয় মাত্র ৩০ টাকা। এছাড়া রিজার্ভ নৌকা নিয়ে পরিবার ও বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ঘোরাঘুরি করার সুযোগ রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শামীম হোসেন জানান, আমাদের এখানে এ সময় অনেক লোকজন আসে। সকালে লোকজন কম থাকলেও বিকেলে অনেক লোকজন দেখা যায়। এই সৌন্দর্যকে কেন্দ্রে করে মুরাদপুর বাজারে ব্যবসা বাণিজ্য অনেকগুণ বেড়ে গেছে।
নৌকার মাঝিরা জানায়, একটি নৌকার ভাড়া থেকে প্রতিদিন তারা প্রায় ২০০০-২৫০০ টাকা আয় করছে। তারা আরো বলেন, অনেক লোকজন মুরাদপুর বাজারে আসছে সুন্দরবনের মতো সৌন্দর্য দেখার জন্য। নদীতে যতদিন পানি থাকবে ততদিন তারা নৌকা চালাবে।
বুড়ইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, গত কয়েক বছর থেকে মুরাদপুর ভদ্রবতী নদীতে অনেক লোকজন বেড়াতে আসছে। বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি এলেই অনেক দর্শনার্থী এখানে বেড়াতে আসে। এলাকাবাসী ওই জায়গার নাম দিয়েছে মিনি সুন্দরবন। নৌকায় উঠে দুই পাশে তাকালে সুন্দরবনের মতোই মনে হয়। নন্দীগ্রাম উপজেলায় কোনো বিনোদন কেন্দ্র নাই। তাই সরকারিভাবে পদক্ষেপ নিলে ওইখানে একটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব হবে।