নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া:
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের কাথম বেড়াগাড়ির সরিষাক্ষেত থেকে অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের ৬দিন পর বুধবার (১৮ জানুয়ারি) ওই তরুণীকে নিজের মেয়ে বলে দাবি করেন ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার ভাষাণচর এলাকার নুরুন্নাহার।
নন্দীগ্রাম থানায় এসে ছবি ও আলামত দেখে প্রাথমিকভাবে মরদেহটি তার নিখোঁজ হওয়া মেয়ে শারমিন আকতার বলে দাবি করে।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণী ৫-৬ মাসের অন্ত:সত্তা ছিলো। নুরুন্নাহার বলেন, আমার মেয়ে ২ জানুয়ারি নিখোঁজ হয়ে যায়। তাঁর পরে ১০ জানুয়ারি সদরপুর থানায় একটি জিডি করেছি। এরমধ্যে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোনো সন্ধান পাইনি। আমরা ১৫ জানুয়ারি রাতে জানতে পারি বগুড়ার নন্দীগ্রামে সরিষাক্ষেতে অজ্ঞাত তরুণীর লাশ পাওয়া গেছে। এরপর আমরা ছবি পাঠিয়ে দেই, এখান থেকেও ছবি পাঠিয়ে দেয়। তখন দেখি ছবি মিলে যায়। পরে বুঝতে পারি এটি আমার মেয়ে শারমিন আকতার। আমার এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে শারমিন আকতার বড়। সদরপুর থানার ভাষাণচর নতুন বাজার এলাকার একটি স্কুলে শারমিন আকতার অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। এলাকার এক ছেলের সাথে সম্পর্ক থাকার কারণে তাঁর লেখাপড়া বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপরেও সে ওই ছেলের সাথে যোগাযোগ করতো। আমার ধারণা তারাই আমার মেয়েকে হত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার সাথে কথা বলেছি। তাঁর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে। ডিএনএ টেস্টের রেজাল্ট পেতে অনেক সময় লাগবে। তিনি আরও বলেন, ওই তরুণী ৫-৬ মাসের অন্তঃসত্তা ছিলো। হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। এসআই তারিকুল ইসলাম গুরুত্বের সাথে মামলাটি তদন্ত করছে।
