নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম:
বগুড়ার নন্দীগ্রামে হতদরিদ্র মরিচ চাষীর স্বপ্ন ভেঙ্গে দিলো দুর্বৃত্তরা। যে ক্ষতি অপূরণীয়। নন্দীগ্রাম পৌরসভার ৩ ওয়ার্ডের বৈলগ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে খায়রুল ইসলাম একজন হতদরিদ্র কৃষক। সে মরিচ চাষকে লাভজনক মনে করে একই গ্রামের কেএম মকছেদ আলীর ছেলে গোলাম রব্বানীর নিকট থেকে বৈলগ্রাম পূর্বমাঠের ৩০ শতক জমি লিজ নিয়ে গ্রীন সুপার মরিচের চাষ করে।
২ মাস পূর্বে মরিচ চাষী খায়রুল ইসলাম ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে জমিতে মরিচের চারারোপণ করে থাকে। মরিচগাছের ডালেডালে মরিচ ধরে। আর ১০-১২ দিন পর মরিচ তুলে বিক্রয় করার ইচ্ছে ছিলো তার। এমতাবস্থায় সোমবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে কেবাকারা তার মরিচ ক্ষেতে আগাছা দমনের ঔষধ স্প্রে করে ক্ষেত নষ্ট করে দেয়। এতে তার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। বর্তমান হাট-বাজারে ৬ হাজার টাকা মণ দরে কাচামরিচ বিক্রয় হচ্ছে। সেই হিসেবে ১০-১২ দিন পর ওই ক্ষেত থেকে আনুমানিক ২০ মণ মরিচ তুলে বিক্রয় করতে পারতো। যার মূল্য পেতো ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
ক্ষতিগ্রস্ত মরিচ চাষী খায়রুল ইসলাম জানান, আমি কখনোই কারো ক্ষতি করিনি বা কারো সাথে আমার শত্রওতাও নেই। তবুও কেবাকারা আমার মরিচ ক্ষেতে আগাছা দমনের ঔষধ স্প্রে করে ক্ষেত নষ্ট করে দিয়েছে। আমার মরিচ চাষে ৪৩ হাজার ৭৭০ টাকা ব্যয় হয়েছে। যা ধারদেনা করে জোগাড় করতে হয়। আমি মরিচ চাষ করে পরিবার নিয়ে ভালোভাবে জীবনযাপন করার স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর রইলো না।
আরও দেখুন
পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!
নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …