নিজস্ব প্রতিবেদক,নন্দীগ্রাম (বগুড়া):
আগাম জাতের টমেটো চাষ করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছে টমেটো চাষিরা। নন্দীগ্রাম উপজেলার সবজি চাষিদের কাছে আগাম টমেটো চাষ যেনো এখন ভাগ্য বদলের স্বপ্ন। তাই বর্ষা শেষে নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শীতের শুরুতে টমেটো বাজারজাত করে অতিরিক্ত দর পাবার আশায় আগাম জাতের টমেটো চাষ শুরু করে সবজি চাষিরা। সারাদেশে এই আগাম জাতের টমেটোর কদরও বেশি রয়েছে।
তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে বড়ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ে টমেটো চাষিরা। এতে হারিয়ে ফেলতে হয় চাষিদের ব্যয় করা অর্থ। তারপরেও অতি লাভের আশায় আগাম জাতের টমেটো চাষকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে এ উপজেলার সবজি চাষিরা। নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম, চাকলমা, বাদলাশনসহ বিভিন্ন মাঠে আগাম জাতের টমেটো চাষ করেছে সবজি চাষিরা। বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি গাছে ঝুলছে টমেটো। প্রতিটি গাছের মাঝখানে ২ ফুট দূরুত্ব থাকে। একটুও এদিক সেদিক নয় সবকিছু যেনো এক সমান। আবার প্রতিটি গাছ মাটি থেকে ৪ থেকে ৫ ফুট উঁচু। এ যেনো চাষিদের হাতে বুনানো অন্যরকম কারুকার্য।
ভাটগ্রামের টমেটো চাষি আব্দুল গাফফার বলেন, আমি ২০ শতক জমিতে এবার আগাম জাতের টমেটো চাষ করেছি। এখন সেই টমেটো হাট-বাজারে বিক্রি করছি। আগাম জাতের টমেটো বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো বলে আশা করছি।
বাদলাশন গ্রামের কৃষক রেজাউল করিম বলেন, আমি ২৫ শতক জমিতে ৩ মাস আগে ১ হাজার টমেটো চারারোপণ করি। ২৫ শতক জমিতে আমার প্রায় ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রতিটি গাছে ৫০-৬০টি করে টমেটো ধরেছে। এখন হাট-বাজারে ১৪০-১৫০ টাকা কেজি দরে টমেটো বিক্রি হচ্ছে। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দেয় তাহলে আমার ২৫ শতক জমি থেকে আনুমানিক ৩ লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারবো।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক জানান, নন্দীগ্রাম উপজেলার সবজি চাষিরা টমেটো চাষে বেশ তৎপর। বিশেষ করে সবজি চাষে চাষিরা বেশ সাফল্য এনেছে। এই উপজেলার চাষিরা আগাম জাতের টমেটো চাষে আগ্রহ বেড়েছে। আমরাও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছি।