নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম (বগুড়া):
বগুড়ার নন্দীগ্রামে ভগ্নিপতির ধর্ষণে শ্যালিকা অন্তঃসত্ত্বা হবার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের বাঁশো গ্রামে। ধর্ষক গৌতম চন্দ্র সরকারকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। ৫ বছর পূর্বে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার ইটালি গ্রামের লঙ্কেশ্বর চন্দ্রের ছেলে গৌতম চন্দ্র সরকার নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের বাঁশো গ্রামের যুবরাজের বড় মেয়ে ফুলকুমারীকে (২৫) বিবাহ করে ঘরসংসার শুরু করে। তাদের ঘরে ২টি ছেলে সন্তান রয়েছে।
পিতা-মাতার সাথে বনিবনা না হওয়ায় ১ বছর পূর্বে গৌতম চন্দ্র সরকার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে এসে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস শুরু করে দেয়। এভাবে বসবাস করাকালীন গৌতম চন্দ্র সরকারের কুনজর পড়ে ১৪ বছর বয়সি শ্যালিকার প্রতি। তার শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্ত্রী সংসারিক কাজে দিনের অধিকাংশ সময় বাড়ির বাহিরে থাকায় চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টারদিকে গৌতম চন্দ্র শয়ন ঘরে তার শ্যালিকাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রথমবার ধর্ষণ করে। এরপর সে দফায় দফায় তাকে ধর্ষণ করে থাকে। গত ২০ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ৮ টারদিকে মেয়েটির হঠাৎ পেট ব্যাথা হলে তাকে পরিক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা যায় সে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
এরপর রবিবার (৩ অক্টোবর) মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে গৌতম চন্দ্র সরকারকে আসামি করে থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ রাতেই বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার ফুলতলা এলাকা থেকে ধর্ষক গৌতম চন্দ্র সরকারকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
সোমবার (৪ অক্টোবর) থানা পুলিশ মেয়েটির ধর্ষণ পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ও ২২ ধারায় জবানবন্দী প্রদানের জন্য আদালতে প্রেরণ করে। পরে থানা পুলিশ আসামি গৌতম চন্দ্র সরকারকে বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে। মামলাটি তদন্ত করছেন থানার এসআই শরিফুল ইসলাম। থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।