নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম:
বগুড়ার নন্দীগ্রামে এবারো বোরো ধানের বাম্পার ফলনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবারো কৃষকরা অনেক বেশি পরিমাণ ধান ঘরে তুলতে পারবে। বোরো ধানের চাষ অনেকটা ব্যয়বহুল হলেও লাভও অনেক বেশি। আর এই উপজেলার কৃষকরা বোরো ধানের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল। তাই উপজেলার কৃষকরা অতি গুরুত্বের সাথে বোরো ধান চাষে আগ্রহী হয়ে থাকে।
এই উপজেলার কৃষকরা ভালোভাবে বছরে ৩ বার ধানের চাষ করে আসছে। এর পাশাপাশি রবিশস্যরও চাষ করে। এবারো তার কোনো ব্যতিক্রম হয়নি। বোরো মৌসুমে এই উপজেলায় ১৯ হাজার ৫শ’ ৪০ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ১৯ হাজার ৮শ’ ৩৬ মেট্রিকটণ ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও কিছুটা কম হতে পারে। তা খুব বেশি কম নয়। ইতোমধ্যেই ফসলি জমিতে ধানের দুধ-দানা গঠন সম্পন্ন হয়েছে। ফসলি জমির চিত্র অনেকটা ভালো দেখা যাচ্ছে। ধানের শীষ দিন দিন ভারি হচ্ছে। আগামী ১৫/২০ দিনের মধ্যেই এই উপজেলার বিভিন্ন মাঠে বোরো ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ শুরু হবে। গত বছর এই উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছিলো। সেই সাথে ধানের বাজারমূল্যও বেশ ভালো ছিলো। ১১শ’ থেকে ১২শ’ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি হয়েছে। এবারো বোরো ধানের বাম্পার ফলনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। ধানের বাজারমূল্য গত বছরের মতো হলে কৃষকরা বেশি খুশি হবে। এখন বোরো ধান কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভালোভাবে বোরো ধান ঘরে তুলতে পারলে এবং বাজারমূল্য ভালো পেলেই কৃষকের সোনালী স্বপ্ন পূরণ হবে।
উপজেলার শালিখাপাড়া গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বাদশা ৪০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছে। তার ফসলি জমির চিত্র খুব ভালো রয়েছে। দোহার গ্রামের কৃষক কৃঞ্চ চন্দ্র ১২ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করে। তারও ফসলি জমির চিত্র ভালো। হাটলাল গ্রামের কৃষক জালাল উদ্দিন ১০০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছে। তারও ফসলি জমির চিত্র অনেকটা ভালো রয়েছে। একই গ্রামের কৃষক হাতেম আলী ৪৫ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করে। তারও ফসলী জমির চিত্র বেশ ভালো দেখা যায়। উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায় বোরো ধানের ফসলি জমির চিত্র অনেক ভালো অবস্থায় রয়েছে। একারণে কৃষকরা এবারো বোরো ধানের বাম্পার ফলন পাওয়ার আশা করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এবারো নন্দীগ্রাম উপজেলায় বোরো ধানের ফসলি জমির চিত্র খুব ভালো লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাই বোরো ধানের বাম্পার ফলনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা আশা করা যায়। ধানের উৎপাদন বেশি হলে কৃষকরা সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়। তেমনি দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
আরও দেখুন
নাটোরে নবাগত ইউএনও’র খাল পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক সিংড়া,,,,,,,,নাটোরের সিংড়ায় খাল পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ নিয়েছেন সদ্যযোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাজহারুল ইসলাম। শনিবারসকাল …