নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম:
শীতের বিদায়কাল সামনে রেখে বগুড়ার নন্দীগ্রামে বোরো চাষে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে কৃষকরা। ধানের বাজারমূল্য ভালো থাকায় খুশিতে বোরো ধানের চাষাবাদ শুরু করেছে কৃষকরা। কারণ এবার আমন ধানের বাজারমূল্য তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো রয়েছে। উপজেলায় ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১১শ’ টাকা মণ দরে আমন ধান বিক্রয় হচ্ছে। এ কারণে এবার লোকসানের অংক তেমন গুণতে হচ্ছে না। বোরো ধানের চাষাবাদ ব্যয়বহুল হলেও চাষাবাদে পিচপা হয় না এ উপজেলার কৃষকরা।
ইতোমধ্যেই উপজেলায় বোরো ধানের চারা রোপণ কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা ধান উৎপাদনে বেশি পারদর্শি। আর এ উপজেলার আবাদি জমিতে উর্বরশক্তি অনেক বেশি রয়েছে। তাই বছরে ৩ বার ভালোভাবে ধানের চাষাবাদ করা সম্ভব হয়। এর পাশাপাশি রবিশস্যরও ভালো চাষাবাদ করা হয়ে থাকে। এ উপজেলাকে শস্যভান্ডার হিসেবে গণ্য করা হয়। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ১৯ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবার এরচেয়ে বেশিও হতে পারে। এ উপজেলার কৃষকরা সোনালী স্বপ্ন নিয়ে বোরো ধানের চাষাবাদ শুরু করে দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু জানান, এ উপজেলার কৃষকরা ধান উৎপাদনে অনেক পারদর্শি। তাই যথারীতিভাবে বোরো ধানের চাষাবাদ শুরু করেছে। আগামী ১০/১২ দিনের মধ্যেই বোরো ধানের চারা রোপণ কাজ সম্পন্ন হবে। এবারো বোরো ধানের বাম্পার ফলনের লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি। নন্দীগ্রাম দক্ষিণপাড়ার কৃষক আকতার হোসেন সুমন, হাটলাল গ্রামের আদর্শ কৃষক মিনহাজুর রহমান ও কাথম গ্রামের কৃষক হারুনুর রশিদ জানিয়েছে, এবার আমন ধানের বাজারমূল্য অনেক ভালো পেয়েছি। তাই আমরা খুশিতে বোরো ধানের চাষাবাদ শুরু করে দিয়েছি।
আরও দেখুন
পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!
নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …