মঙ্গলবার , নভেম্বর ৫ ২০২৪
নীড় পাতা / কৃষি / নন্দীগ্রামে বোরো ধান নিয়ে দিশেহারা কৃষক

নন্দীগ্রামে বোরো ধান নিয়ে দিশেহারা কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রামঃ
বগুড়ার নন্দীগ্রামে বোরা ধান নিয়ে দিশেহারা কৃষক। ক্ষেতে পাকছে সোনালী ফসল বোরা ধান । তাই ফসল ঘরে তোলার অপেক্ষার প্রহর গুণছে উপজেলার কৃষকরা। জানা গেছে, উপজেলায় ২০ হাজার ১৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। এই উপজেলায় আগাম জাতের ধান পাকতে শুরু করেছে। এ কারণে দুশ্চিন্তায় ঘুম নেই উপজেলার কৃষকদের। ঘুম কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস।

অঘোষিত লকডাউন যত দীর্ঘায়িত হচ্ছে, ততই কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে। ধান কাটামাড়াই করে ঘরে তোলার শ্রমিক পাবে কোথায় এ নিয়ে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কৃষকরা জানিয়েছে, কয়েকদিন পরই ধান কাটামাড়াই শুরু হবে। ফসল ভালো হওয়াতে কৃষকরা অনেকটা খুশি থাকলেও কাটামাড়াই নিয়ে চিন্তিত রয়েছে।

বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কৃষক-শ্রমিকসহ সবাই ঘরমুখো হয়ে আছে। ফসল ঘরে তুলতে শ্রমিক সংকট দেখা দেয়ার আশঙ্কা করছে কৃষকরা। পাশাপাশি আবহাওয়ার বিরুপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। উপজেলার বামন গ্রামের কৃষক তীর্থ সলিল রুদ্র বলেছে, এ বছর ৪০ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। মনটা খুব ফুরফুরে ছিল। ফলনও অনেক ভালো হয়েছে। এরই মধ্যে করোনার হানা দিয়েছে।

এক সপ্তাহ পরই ধান কাটামাড়াইয়ের কাজ শুরু হবে। কিন্তু ধান কাটার শ্রমিক পাবো কোথায় ? নীলফামারী জেলায় শ্রমিক আছে। তারা এবার আসতে চাইছে না। ধান ঘরে তুলবো কিভাবে ? এসব চিন্তায় রাতে ঘুম হচ্ছে না। জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আদনান বাবু জানান, ভর্তুকি মূল্যে ধান কাটার (কম্বাইন্ড হারভেস্টার) যন্ত্র কৃষকদের দেয়া হচ্ছে।

এতে করে কিছু শ্রমিক সংকট নিরসন হবে। এছাড়া শ্রমিক যেন আসা যাওয়া করতে পারে এ নির্দেশনা অল্প দিনের মধ্যেই পাওয়া যাবে। শ্রমিক সংকট নিয়ে কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।

আরও দেখুন

নন্দীগ্রামে মনছুর রহমান ও জায়েদা বেগম স্মৃতি 

শিক্ষাবৃত্তি উপলক্ষ্যে সেমিনার এবং বৃত্তি প্রদান  নিজস্ব প্রতিবেদক নন্দীগ্রাম,,,,,,,,,বগুড়ার নন্দীগ্রামে মনছুর রহমান ও জায়েদা বেগম …