নিজস্ব প্রতিবেদক:
বগুড়ার নন্দীগ্রামে পুরোদমে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ। তেমনি ধানের ক্রেতাদের ব্যাপক আগমন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হাট-বাজার বা আড়তে ধান নিয়ে যাবার আগেই ক্রেতারা গ্রাম থেকেই ধান ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে ধান বিক্রয় করতে কৃষকদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
বর্তমান ধানের বাজারমূল্যে কৃষকরা খুশি রয়েছে। এ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি মিনিকেট জাতের ধান চাষাবাদ হয়। মিনিকেট ধান ১২২০-১২৫০ টাকা মণ দরে বিক্রয় হচ্ছে। যে মূল্য পেয়ে কৃষকরা অনেক খুশিতে রয়েছে। এ উপজেলার ফসলি জমিতে বছরে ৩বার ভালোভাবে ধানের চাষাবাদ করা হয়। এরমধ্যে বোরো ধানের চাষাবাদ সবচেয়ে ব্যয়বহুল হলেও লাভের অংকটা বেশি থাকলে কৃষকরা খুব খুশি হয়। প্রতি বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ থেকে শুরু করে কাটা-মাড়াই পর্যন্ত ১২-১৩ হাজার টাকা ব্যয় হয়।
সে তুলনায় এবারের ধানের বাজারমূল্যে লাভের অংকটা অনেক বেশি। আবার ধানের ফলনও অনেক ভালো হয়েছে। উপজেলার হাটলাল গ্রামের আদর্শ কৃষক মিনহাজুর রহমান জানান, প্রতি বিঘায় ২৬-২৭ মণ হারে ধান পাওয়া যাচ্ছে। আবার ধানের বাজারমূল্যও বেশ ভালো রয়েছে। যে কারণে আমরা অনেক খুশি।
বাঁশো গ্রামের কৃষক রুস্তম আলী জানান, ধানের যেমন ফলন হয়েছে, তেমন বাজারমূল্য রয়েছে। এ কারণে আমরা বোরো ধান চাষাবাদ করে খুশিতেই রয়েছি। প্রতি বিঘা জমির ধান কাটা-মাড়াই করতে শ্রমিকদের মজুরি দিতে হচ্ছে ৪৫০০-৫০০০ হাজার টাকা। উত্তরের জেলাগুলো থেকে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ধান কাটা-মাড়াইয়ের শ্রমিক এসেছে। যে কারণে এ উপজেলায় তেমন শ্রমিক সংকট নেই।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় ১৯ হাজার ২৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাযাবাদ করা হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু বলেন, নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা ধান উৎপাদনে অনেক পারদর্শী। তারপরেও আমরা ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কৃষকদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছি। আর ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি হলে কৃষকরা অনেক উপকৃত হয়। তিনি আরও বলেন, বিগত বছরের মতো এবারও এ উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
ধানের বাজারমূল্যও অনেক ভালো রয়েছে। তাই কৃষকরা অনেক খুশি। আল্লাহর রহমতে প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে কৃষকরা ভালোভাবে ধান ঘরে তুলতে পারবে। আমরা আবহাওয়া সম্পর্কে আগাম তথ্য পেলে তা কৃষকদের জানিয়ে থাকি। দেশের বিভিন্ন এলাকার ধানের বেপারীরা নন্দীগ্রাম উপজেলা থেকে ধান ক্রয় করে নিয়ে যাওয়া শুরু করেছে।