নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম: নবান্ন শব্দের অর্থ নতুন অন্ন। আর এ নবান্ন উৎসব বলতে নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধানের চালের প্রথম রান্না উপলক্ষ্যে এ নবান্ন উৎসব। বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে সোমবার পহেলা অগ্রহায়ণ হওয়ায় নন্দীগ্রাম উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নবান্ন উৎসব পালন করছে। ঐতিহ্যবাহী এ নবান্ন উৎসবের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে হরেক রকম মাছ ক্রয়। এছাড়া মেয়ে-জামাই ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে নিয়ে এসে সুস্বাদু খাবার তৈরী করে খাওয়ানো হয়। এ নবান্ন উৎসব ঘিরে প্রতিবছর মাছের মেলা বসে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। সরেজমিনে উপজেলার রণবাঘা ও ওমরপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি মাছের দোকান। সেখানে থরে থরে সাজানো বোয়াল, রুই, কাতলা, চিতল, সিলভারকার্প, বাঘাআইড়সহ হরেক রকমের মাছ। ১ কেজি থেকে ১৪ কেজি ওজনের মাছ ক্রয়-বিক্রয় হয়। লোকজনও ব্যাপক উৎসাহের সাথে কিনছে বিভিন্ন ধরণের মাছ। কোন কোন মাছ বিক্রেতারা বিশালাকৃতির মাছগুলো মাথার ওপর তুলেধরে ক্রেতাদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে। উপজেলার নামুইট গ্রামের মাছ বিক্রেতা মিন্টু মিয়া বলেছে, নবান্ন উৎসবকে ঘিরে অনেকে বাড়ির আশপাশের পুকুরে মাছ চাষ করে। বড়বড় মাছ নবান্নের বাজারে বিক্রি করতে আনে। তারা ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতাকে চিন্তা করে মাছের দাম কম রাখে। মাছ বিক্রেতা মোকাব্বর হোসেন জানিয়েছে, মাছের আকার ভেদে এক একটি মাছ ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। উপজেলার নন্দীগ্রাম সদরের অসিম কুমার রায় জানিয়েছে, ওমরপুর বাজার থেকে ৫ হাজার টাকার মাছ কিনেছি। সেখানে মাছের মেলা বসেছে। দাসগ্রামের মাছ ক্রেতা বাদল চন্দ্র জানিয়েছে, আমি রুই মাছ ৪৮০ টাকা কেজি, বিগহেড ৫৫০ টাকা কেজি ও চিতল ৯০০ টাকা কেজি দরে কিনেছি। মোট ৯ হাজার ৫০০ টাকার মাছ কিনেছি। মাছ কিনতে আসা নাটোর জেলার সিংড়ার উপজেলার মাসিন্দা গ্রামের অমর কুমার বলেছে, বিগহেড, সিলভারকার্প, রুই ও কাতলা মাছের দাম ঠিক আছে। অন্য বছরের চাইতে এবার চিতল ও বোয়াল মাছের দাম একটু বেশি। তবে বাজারে বড়বড় মাছ দেখে মনটা বেশ খুশি। ব্যাপক উৎসবমূখর পরিবেশে নন্দীগ্রামে কৃষকদের ঘরেঘরে নবান্ন উৎসব চলছে।
আরও দেখুন
মিথ্যা মামলা থেকে খালাস বাগাতিপাড়ার দুই সাংবাদিক
নিজস্ব প্রতিবেদক বাগাতিপাড়া,,,,,,,,নাটোরের বাগাতিপাড়ায় মারামারি ও চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা থেকে খালাস পেলেন দুই সাংবাদিক। রবিবার …