নন্দীগ্রাম (বগুড়া)
বগুড়ার নন্দীগ্রামে গ্রেপ্তার আতঙ্কে বাড়িছাড়া হয়ে এখনো পালিয়ে বেড়াচ্ছে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও দলীয় কার্যালয়েও ঝুলছে তালা।
নন্দীগ্রামে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ধরপাকড় অভিযান অব্যাহত থাকায় এখনো শতশত নেতাকর্মী বাড়িছাড়া রয়েছে। দলীয় কর্মসূচি হরতাল-অবরোধ সফল করার লক্ষ্যে কখনো রাতে আবার কখনো খুব সকালে ঝটিকা মিছিল করেই লাপাত্তা হয়ে যচ্ছে পালিয়ে থাকা নেতাকর্মীরা। সেসব নেতাকর্মীদের মোবাইল ফোন বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে।
নন্দীগ্রাম থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বঙ্গবন্ধু চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আরাফাত রহমান বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
এছাড়া গত ১৮ নভেম্বর রাতে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের ইউসুবপুর এলাকায় চলন্ত ট্রাকে অগ্নিসংযোগ ও নন্দীগ্রাম মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটে। ওই ২টি ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন ট্রাক চালক ফয়সাল আলম। ফয়সাল আলম দিনাজপুর সদর উপজেলার কাশিমপুর শিয়ালডাঙ্গা গ্রামের আফছার আলীর ছেলে। আর এই মামলায় ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। তবে বিএনপি দলীয় সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে।
নন্দীগ্রাম পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম সুমন বলেন, আওয়ামী লীগ ও পুলিশের গায়েবি মামলায় আমাদের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিও পালন করতে দেওয়া হচ্ছেনা। জনগণ এই দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজমগীর হোসাইন বলেন, যারা নাশকতার সাথে জড়িত তাদেরকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গায়েবি কোনো মামলা হয় না। আর তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। শতশত মানুষ ট্রাকে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা দেখেছে। এসব ঘটনায় জড়িত না থাকলে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই।