রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪
নীড় পাতা / সাহিত্য ও সংস্কৃতি / ইতিহাস ও ঐতিহ্য / নন্দীগ্রামে কুমড়াবড়ি তৈরী করে স্বাবলম্বী হবার স্বপ্ন দেখছে গৃহবধুরা

নন্দীগ্রামে কুমড়াবড়ি তৈরী করে স্বাবলম্বী হবার স্বপ্ন দেখছে গৃহবধুরা

অসিম কুমার রায়, নন্দীগ্রাম (বগুড়া): বগুড়ার নন্দীগ্রামে কুমড়াবড়ি তৈরী করে স্বাবলম্বী হবার স্বপ্ন দেখছে গৃহবধুরা। সেই সাথে কুমড়াবড়িও আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ জনপ্রিয় খাবার কুমড়াবড়ি তৈরী করার ধুম পড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘরে ঘরে বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের গৃহবধুরা শীত মৌসুমী খাবার হিসেবে কুমড়াবড়ি তৈরী করে স্বাবলম্বী হবার চেষ্টা করছে। জানা যায়, মাশকালাই ডাল দিয়ে তৈরী করা হয় এই সুস্বাদু খাবার। শুধুমাত্র শীতের সময়ই নয়। প্রায় ১২ মাসই নন্দীগ্রাম উপজেলার হাট-বাজারে কুমড়াবড়ই পাওয়া যায়। যা সারা বছরের খাদ্য হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কুমড়াবড়ি’র তরকারি ছাড়াও প্রায় সব তরকারিতে কুমড়াবড়ি সহযোগী উপাদান হিসেবে ও আলাদাভাবে ভর্তা করেও খাওয়া যায়। নন্দীগ্রাম উপজেলার নুন্দহ, কল্যাণনগর, হাটধুমাসহ বিভিন্ন গ্রামে কুমড়াবড়ি তৈরীকারি গৃহবধুদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চলতি শীত মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে কুমড়াবড়ি তৈরীর ধুম পড়েছে। বিশেষ করে উপজেলার কল্যাণনগর ও হাটধুমা গ্রামে বেশিরভাগ কুমড়বড়ি তৈরী করা হয়। কুমড়বড়ি তৈরীর পর স্থানীয় ও পার্শ¦বর্তী উপজেলার ব্যবসায়ীরা এসে ক্রয় করে নিয়ে যায়। এতে নিজেদের খাবারের পাশাপাশি বিক্রয় করে বাড়তি আয় করার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। হাটধুমা গ্রামের হাজেরা বেগম বলেন, কুমড়াবড়ই তৈরী করার জন্য প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয় মাশকালাই ডাল। এ ডাল দিয়ে তৈরী করা কুমড়াবড়ির সবচেয়ে বেশি সুস্বাদু হয়। তবে এর সঙ্গে চাল মিশিয়ে যে কুমড়াবড়ই তৈরী করা হয় তার চাহিদা থাকলেও তেমন সুস্বাদু হয় না। কুমড়াবড়ি তৈরীর প্রক্রিয়া হিসেবে তিনি বলেন, সারারাত পানিতে মাশকালাই ডাল ভিজিয়ে রাখার পর তা পিষে কুমড়াবড়ি তৈরী করা হয়। তা পাতলা কাপড়ের ওপর রোদে শুকাতে হয়। দেড় থেকে দুইদিন শুকানোর পর কুমড়াবড়ি খাবার উপযোগী হয়। এরপর ব্যবসায়ীদের নিকট পাইকারী দরে এবং সাধারণ ক্রেতাদের কাছে খুচরা দরে বিক্রয় করা হয়ে থাকে। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে কুমড়াবড়ি বিক্রেতা কার্তিক চন্দ্র বলেন, মাশকালাই থেকে তৈরী করা কুমড়াবড়ি প্রতি কেজি ২৫০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। অন্যান্য মানের কুমড়াবড়ি প্রতি কেজি ১৫০/১৬০ টাকা দরে বিক্রয় করা হয়। নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে কুমড়াবড়ি তৈরীর ধুমপড়ে। তেমনি চাহিদাও অনেক বেশি হয়। কুমড়াবড়ি তৈরী করে গ্রাম্য গৃহবধুরা স্বাবলম্বী হবার চেষ্টা করছে। এর আগে অনেক গৃহবধু কুমড়াবড়ি তৈরী করে স্বাবলম্বী হয়েছে। তারা এখন আর কুমড়াবড়ি তৈরী করে না। কিন্তু তাদের স্বাবলম্বী হবার কথা ভেবে অনেকেই কুমড়াবড়ি তৈরী করছে।

আরও দেখুন

লালপুরে কুরেছান বেগমের ইন্তেকাল 

নিজস্ব প্রতিবেদক লালপুর,,,,,,,,,,,,,,দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার নাটোরের লালপুর প্রতিনিধি ও মডেল প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সাহীন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *