নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম:
বগুড়ার নন্দীগ্রামে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ সরিষার চাষাবাদ হয়েছে। ভোজ্যতেলের দাম বাজারে বেশি থাকায় অধিক লাভের আশায় উপজেলার কৃষকরা এবার বোরো ধানের চাষাবাদের আগেই ব্যাপকহারে সরিষার চাষাবাদ করেছে। হেমন্তের শেষদিকে উত্তরের হাওয়ায় ইতোমধ্যেই জেঁকে বসেছে শীত। এরই মধ্যেই মাঠেমাঠে শোভা বাড়াচ্ছে সরিষা ফুল। গ্রামের বিস্তীর্ণ মাঠে ঝিলিক দিচ্ছে সরিষা ফুলের সোনালী হাসি। ফুলগুলোতে ঘুরেঘুরে মধু সংগ্রহ করছে মৌমাছির ঝাঁক। দুচোখ জুড়ানো এমন দৃশ্য আকৃষ্ট করছে সবাইকে।
উপজেলার চাষিরা জানায়, অন্য যে কোনো চাষাবাদের চেয়ে সরিষা চাষাবাদে খরচ ও পরিশ্রম দুটোই কম। ৩ মাসেরও কম সময়ের মধ্যেই সরিষার ফলন পাওয়া যায়। আবহাওয়া অনুকূলে আছে তাই সরিষার চাষ এবার বেশি হয়েছে। এ উপজেলার মাটি সরিষা চাষাবাদের জন্য খুবই উপযোগী। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৪ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষাবাদ করা হয়েছে। কৃষকরা তাদের অধিকাংশ জমিতে উচ্চফলনশীল বারি-১৪, বারি-১৫, বারি-১৭, বিনা-৪, বিনা-৯, বিনা-১১, স্থানীয় টরে-৭ ও সম্পদ জাতের সরিষা চাষাবাদ হয়েছে।
উপজেলার হাটুয়া গ্রামের আদর্শ কৃষক ও সাবেক মেয়র সুশান্ত কুমার সরকার শান্ত জানান, আমি এবার ৭৫ বিঘা জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষার চাষাবাদ করেছি। সরিষা চাষাবাদে প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়, জমি চাষ ৬০০ টাকা, সরিষা বীজ ১ কেজি ১৪০ টাকা, এমওপি ২০ কেজি ৪৫০ টাকা, ডিএপি ৪০ কেজি ৮০০ টাকা, ইউরিয়া ৫০ কেজি ৮২০ টাকা, জিপসাম ২০ কেজি ১৫০ টাকা, বোরণ ১ কেজি ১৩০ টাকা, কীটনাশক (দানাদার) ১ কেজি ১৫০ টাকা, কীটনাশক (তরল) ২০০ টাকা ও কাটা-মাড়াই ৭০০ টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে মোট সাড়ে ৩-৪ হাজার টাকা ব্যয় হয়। আবহাওয়া ভালো থাকলে বিঘা প্রতি ফলন আসবে ৮ থেকে ৯ মণ। যার বাজার মূল্য প্রায় ২০ থেকে ২৪ হাজার টাকা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু জানান, নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা এবার ব্যাপকহারে সরিষার চাষাবাদ করেছে। সরিষা চাষিদের মাঠপর্যায় পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
আরও দেখুন
নাটোরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বিষয়ক কর্মশালা
নিজস্ব প্রতিবেদক ,,,,,,,,,,,,,,,,,,বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৪-২০২৫ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ই- গভন্যাস ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ …