নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম:
করোনা পরিস্থিতিতে একদিকে ঈদুল আযহা অপরদিকে আমণের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। তাই বগুড়ার নন্দীগ্রামে আমন ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক। বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা ধান উৎপাদনে পারদর্শি। এ উপজেলার আবাদি জমির উর্বরতা অনেকটা বেশি। একারণে বছরে ৩ বার ধানের চাষাবাদ করা যায়। পাশাপাশি রবিশস্য’রও চাষাবাদ করা হয়ে থাকে। এ উপজেলাকে শস্যভান্ডার হিসেবে গণ্য করা হয়। শ্রাবণের বৃষ্টির পানিতে কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপণ কাজে ব্যস্ত সময় অতিক্রম করছে। এবার বর্ষা মৌসুমে ভালো বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেকারণে আবাদি জমিতে বাড়তি পানি সেচ দিতে হচ্ছে না। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কৃষকরা দ্রুত গতিতে আমন ধানের চারা রোপণ করছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ২০ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৪ হাজার ১ শ’ ১৪ মেট্রিক টণ। ইরি-বোরো মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তেমনি কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্যও পেয়েছে। এতে কৃষকরা অনেকটা খুশি। এজন্য কৃষকরা সোনালী স্বপ্ন নিয়ে আমন ধানের চাষাবাদ শুরু করে দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু জানিয়েছেন, এ উপজেলার কৃষকরা ধান উৎপাদনে অনেক পারদর্শি। তাই যথারীতিভাবে আমন ধানের চাষাবাদ শুরু করে দিয়েছে। ইতোমধ্যেই আবাদি জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। শ্রাবণ মাসের মধ্যেই আমন ধানের চারা রোপণ কাজ সম্পন্ন হবে। এবারো আমন ধানের বাম্পার ফলনের লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। আমন ধানের চাষাবাদে কৃষকদেরও অনেকটা আগ্রহ বেশি রয়েছে। এতে ব্যয় কম হলেও ধান উৎপাদন ভালো হয়।
নন্দীগ্রাম সদরের কৃষক আব্দুস সাত্তার ১০ বিঘা, বর্ষণ গ্রামের কৃষক ইনছান আলী ৪০ বিঘা ও দামরুল গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ৪০ বিঘা জমিতে ইতোমধ্যেই আমণ ধানের চারা রোপণ কাজ সম্পন্ন করেছে। তারা জানিয়েছে, এখন পুরোদমে আমন ধানের চারা রোপণ কাজ চলছে।
আরও দেখুন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ ………..চাঁপাইনবাবগঞ্জে রক্তদান সামাজিক সেবামূলক সংগঠন ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার …