নিজস্ব প্রতিবেদক:
বগুড়ার নন্দীগ্রামে আউশ ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করেছে কৃষকরা। এ বছর মৌসুমজুড়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের রোগবালাই ও পোকার আক্রমণ কম ছিলো। এবার আউশ ধানের ফলন ভালো ও বাজারমূল্যে খুশি কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আউশ মৌসুমে ২ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষাবাদ হয়েছে।এ উপজেলার কৃষকরা বিভিন্ন জাতের ধানের চাষাবাদ করে থাকে। এবারও উপজেলায় আউশ ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি অফিস হতে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ২ হাজার ১৩০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্থিক কৃষককে বিনামূল্যে ৫ কেজি ধান বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, এখন ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করেছে কৃষকেরা। বৃষ্টিতে ভিজে ধান যাতে নষ্ট না হয় সেই জন্য অনেক কৃষক ক্ষেতের পাশের উঁচু জায়গায় ধান মাড়াইয়ের কাজ করছে।
উপজেলার আমগাছি গ্রামের কৃষক ফারুক আহম্মেদ বলেন, আমার ২২ বিঘা জমিতে পারি ধান আছে। ধান কাটা-মাড়াই শুরু করেছি। প্রতিবিঘায় ধানের ফলন হয়েছে ১৪-১৫ মণ। আর ধান বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১০৫০ টাকা দরে।প্রতিবিঘা জমিতে ব্যয় হয়েছে ৭-৮ হাজার টাকা। তবুও ধান বিক্রি করে কিছু লাভ হচ্ছে। এই ধান কাটা-মাড়াইয়ের পর আমন ধানের চাষাবাদ হবে।
হাটলাল গ্রামের আদর্শ কৃষক মিনহাজুর রহমান হাবিব বলেন, আমাদের এলাকায় ১৬-১৮ মণ হারে আউশ ধানের ফলন হচ্ছে। এখন ধানের দামও ভালোই রয়েছে। এই আবাদটি কৃষকের জন্য বাড়তি আয়। খরচ বাদ দিয়ে বিঘায় ৭-৮ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, কৃষি অফিস থেকে আউশ ধান চাষিদের সবধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়েছে। ধানের ফলনও ভালো হয়েছে । আউশ ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি অফিস হতে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ধান বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।