নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম:
বগুড়ার নন্দীগ্রামে আউশ ধানের ভালো ফলন হচ্ছে। এছাড়া বাজারে ধানের দামও বেশ ভালো রয়েছে। এ বছর মৌসুম জুড়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের রোগবালাই ও পোকার আক্রমণ কম ছিলো। এখন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলছে আউশ ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। এবার আউশের ভালো ফলন ও দামে বেজায় খুশি কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানা যায়, এ মৌসুমে ৩ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ২৫ হাজার ২৪৫ মেট্রিক টন ধান। উপজেলার বেশিরভাগ কৃষকরা বিনা-১৯, পারিজাত ও বিধান ৪৮ জাতের ধান চাষ করেছে। উপজেলায় আউশ চাষ বৃদ্ধির লক্ষে এ বছর ৩ হাজার ৩০ জন কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, এখন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত কৃষকরা। বৃষ্টিতে ভিজে ধান যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য অনেক কৃষক ক্ষেতের পাশের উঁচু জায়গায় ধান মাড়াইয়ের কাজ করছে। অনেকেই মাড়াই করা ধান ও খড় শুকাচ্ছে।
উপজেলার কৈডালা গ্রামের কৃষক মোবারক আলী বলেন, আউশ ধানের খরচ বোরো ধানের চেয়ে অনেক কম হয়। এবার প্রতি বিঘায় ১৮-১৯ মণ ধান পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি মণ ধান বাজারে ১১-১২শ’ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। এতে কৃষকরা লাভবান হবে। হাটলাল গ্রামের কৃষক জয়নাল আবেদীন বলেন, ধানের ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে ধানের দামও ভালো রয়েছে। আমরা ৪৮ জাতের ধান চাষ করেছি। এখন আউশ ধান কাটা ও মাড়াই করে আমন ধানের চাষ করবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু বলেন, কৃষি অফিস থেকে আউশ ধান চাষিদের সবধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও দেখুন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ ………..চাঁপাইনবাবগঞ্জে রক্তদান সামাজিক সেবামূলক সংগঠন ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার …