নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম (বগুড়া):
বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌরসভা ও মেয়র আনিছুর রহমানের ব্যক্তিগত অর্থায়নে ঘর পেলেন অসহায় এলিনা খাতুন। নন্দীগ্রাম পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের ইব্রাহিম হোসেনের মেয়ে এলিনা খাতুন উচ্চ শিক্ষিত হয়েও ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজও বড় অসহায়। স্বামী পরিত্যক্তা এই এলিনা তার ছোট একটি ছেলে সন্তান নিয়ে থাকতো অন্যের বাড়িতে।
উচ্চ শিক্ষিত হওয়ার কারণে অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতেও আত্মসম্মানে বাঁধা দিতো এলিনার। এরপরেও একটি ছোট ছেলে সন্তানের খরচ ও নিজের জীবন চালাতে লজ্জাশরমের কথা চিন্তা না করেই অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে এলিনা। এলিনার এমন দুঃখ দুর্দশার কথাশুনে ছুটে যান নন্দীগ্রাম পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে নন্দীগ্রাম পৌরসভা ও মেয়র আনিছুর রহমানের ব্যক্তিগত অর্থায়নে অন্যের জমিতেই এলিনাকে প্রায় অর্ধ লাখ টাকা ব্যয়ে এক কক্ষ বিশিষ্ট একটি টিনশেড ঘরে তৈরি করে দিয়ে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। যা পেয়ে অনেক খুশি হয় এলিনা।
নবনির্মিত সেই ঘরে সন্তানকে নিয়ে উঠে আনন্দের সাথে এলিনা খাতুন বলেন, উচ্চ শিক্ষিত হলেও ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আজও আমি বড় অসহায়। আমাকে ও আমার সন্তানকে দেখার মতো কেউ নেই। তাই অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে সন্তানকে নিয়ে জীবন চালাতে হয়। আমার থাকার কোনো জায়গা-জমি নেই। মাথাগোঁজার কোনো ঠাঁই ছিলো না কিন্তু আমাদের নন্দীগ্রাম পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান মাথাগোঁজার ঠাঁই হিসেবে আমাকে একটি ঘর উপহার দিয়েছে। এই ঘর পেয়ে আমি অনেক খুশি হয়েছি। সারাদিন অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে রাতে এসে নিজ ঘরে থাকতে পারবো।
বুধবার (২২নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নবনির্মিত ঘরটির চাবি এলিনার নিকট হস্তান্তর করেন নন্দীগ্রাম পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান। সেসময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র সাইফুল ইসলাম, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন মাহমুদ ও ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু সাঈদ মিলন প্রমুখ।
নন্দীগ্রাম পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান বলেন, এলিনা খাতুন অত্যন্ত মেধাবী এবং বিএ পাশ গরীব-অসহায় একজন মেয়ে। তার থাকার মতো কোনো ঘর ছিলো না। তাই নন্দীগ্রাম পৌরসভা ও আমার ব্যক্তিগত তহবিলের অর্থায়নে এলিনাকে এক কক্ষ বিশিষ্ট একটি টিনশেড ঘর তৈরি করে দিয়েছি। এরপর তাকে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হবে। আমি গরীব-অসহায় মানুষের পাশে আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ।