নিজস্ব প্রতিবেদক,নন্দীগ্রাম (বগুড়া):
বগুড়ার নন্দীগ্রামে অবৈধভাবে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রির অপরাধে ৪ জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নন্দীগ্রাম থানায় মামলাটি দায়ের করেন উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান সরকার।
সেই মামলার আসামিরা হলেন জমির মালিক উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের ভাটগ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে আবু সোহেল বকুল (৫৩), ভেকু চালক নাটোর সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের ইব্রাহীম আলীর ছেলে আলী হোসেন (২৬) একই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২২) ও ভেকু মালিক নাটোর সদর উপজেলার হরিশপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গণির ছেলে আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন (৭৫)।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয় যে, আসামিরা ভাটগ্রাম মৌজার ৭০৪ দাগের ১ একর ২২ শতক পরিমাণ জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রি শুরু করে। বিষয়টি সহকারী কমিশনার (ভূমি) কুরশিয়া আক্তার জানতে পেরে ভাটগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান সরকারকে সরেজমিনে পরিদর্শন করে থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেন।
তিনি সেখানে পৌঁছিলে আসামিরা দ্রুত পালিয়ে যায়। এরপর তিনি থানায় এসে ২০১০ সালের বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে ৪ এবং ১১ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কুরশিয়া আক্তার বলেন, আমি ভাটগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান সরকারকে সরেজমিনে পরিদর্শন করে বাদী হয়ে নিয়মিত মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছি।
এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতা ওই পুকুর খনন ও মাটি বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করলেও তাকে মামলায় আসামি করা হয়নি। এমন প্রভাবশালীরাই পুকুর খনন ও মাটি বিক্রি কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। তাই এদেরকেও আসামি করে আইনের আওতায় এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। তাহলেই অবৈধভাবে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রি কার্যক্রম রোধ করা সম্ভব।