নিজস্ব প্রতিবেদক , নন্দীগ্রাম
বগুড়ার নন্দীগ্রামের মেধাবী শিক্ষার্থী রিতা রাণীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির দায়িত্ব নিলেন ইউএনও শারমিন আখতার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান পায় রিতা রাণী। সে নন্দীগ্রাম উপজেলার ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের দাসগ্রাম দামুয়াপাড়ার রতন কুমারের মেয়ে। দরিদ্র পরিবারের মেয়ে হলেও লেখাপড়ায় সে থেমে যায়নি কখনো। রিতা রাণী লেখাপড়ায় ব্যাপক আগ্রহী। তাই লেখাপড়ায় এগিয়ে চলছে।
রিতা রাণী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান পেয়েও অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারছিল না। মেয়ের ভর্তি নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ছিল তার পিতা-মাতা। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে হতদরিদ্র রতন কুমারের সংসার। রিতা রাণী অতিকষ্টে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সাফল্যের সাথে পাস করে। এ বিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খালেদা ইয়াসমিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, “জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ” প্রোগ্রামের জন্য জয়িতা খুঁজেতে গিয়ে খুঁজে পেলাম রিতা রাণীকে।
জানতে পারলাম রিতা রাণী অভাব-অনাটনের সাথে যুদ্ধ করে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সাফল্যের সাথে পাস করেছে। এরপর সে উচ্চ শিক্ষার জন্য চলতি শিক্ষা বর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খ-ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মেধা তালিকায় ৯৩২ তম স্থান লাভ করেছে। কিন্তু অভাব-অনাটনের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এ বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে তিনি রিতা রাণীর পরিবারকে অফিসে ডেকে পাঠান। এরপর তিনি রিতা রাণী ও তার মায়ের সাথে কথা বলে তার প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রিতা রাণী বলেন, আমার ভর্তির বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করায় আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার স্যারের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ। আমি স্যারের মঙ্গল কামনা করি। তিনি আরও বলেন, আমি মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। সেই সাথে সবার দোয়া ও আশির্বাদ কামনা করি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি রিতা রাণীর পরিবারের সাথে কথা বলি।
এরপর তার সার্বিক খোঁজ খবর নিয়েছি। আমি তার ভর্তি সংক্রান্ত ব্যাপারে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করবো। তিনি আরো বলেন, রিতা রাণী যেন ভবিষ্যতে আরো ভালোভাবে লেখাপড়া করে দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য কাজ করতে পারে এই প্রত্যাশা করি।