সোমবার , ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪
নীড় পাতা / কৃষি / নন্দীগ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের জৈব সার এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে

নন্দীগ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের জৈব সার এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে

নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রামঃ
বগুড়ার নন্দীগ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের জৈব সার এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। জাহাঙ্গীর আলম জৈব সার তৈরী করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। তার তৈরী জৈব সার এখন বগুড়া ছাড়িয়ে গেছে। সিলেট, রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট ও রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা এ জৈব সার সরবরাহ করে বিক্রয় করছে।

নন্দীগ্রাম উপজেলার ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের রিধইল গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ২০১৭ সালে তার এক সহযোগী নাছির উদ্দিনকে সাথে নিয়ে প্রথমে জৈব সার তৈরী শুরু করে। চেম্বার পদ্ধতিতে ট্রাইকো ডারমা মিশ্রিত জৈব সার তৈরীতে গবর, মুরগীর বিষ্টা, বিভিন্ন লতাপাতা ও পচনশীল আবর্জনা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মিশ্রণগুলো চেম্বারে ২১ দিন সংরক্ষণ করার পর তা রোদে শুকিয়ে মেশিনে ভেঙ্গে নেটিং করা হয়। পরে এ সার দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করার জন্য ১০ কেজি ও ৪০ কেজির বস্তায় প্যাকিং করা হয়।

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমীতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল হতে অনুমতি নিয়ে প্রথমে আমরা ২ জন শ্রমিক নিয়ে জৈব সার তৈরী করতে শুরু করি। এখন ১২ জন শ্রমিক নিয়ে প্রতি মাসে ৪ মেট্রিকটণ জৈব সার তার কারখানায় উৎপাদন হচ্ছে। ১০ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে তিনি ৪০ হাজার টাকার এ জৈব সার বিক্রয় করা হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মশিদুল হকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, জৈব সার তৈরী করে ইতিমধ্যেই জেলা ব্যাপী পরিচিত হয়ে উঠেছে জাহাঙ্গীর আলম। জৈব সার মাটির পুষ্টিগুন বৃদ্ধি করে। এ সার ব্যবহারে মাটির গঠন উন্নত হয় এবং উৎপাদিত ফসলের গুণগতমান ভালো হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে তাকে সবধরনের সহযোগীতা করা হচ্ছে।

আরও দেখুন

পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!

নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …