নিজস্ব প্রতিবেদক, রাণীনগর:
অবিরাম বর্ষণে ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানির কারণে আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আত্রাইয়ের কাশিয়াবাড়ী ব্রীজ দিয়ে পানি প্রবেশ করে রাণীনগর উপজেলার বড়গাছা ইউপির বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত ও পুকুর ডুবে যাওয়ায় বন্যার পানিতে পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এছাড়াও ঐ এলাকার আমনচাষী কৃষকদের বীজতলা ডুবে গেছে এতে জনমনে চরম আতংকের সৃষ্টি হয়েছে যে কোন সময় উপজেলার প্রায় ৪টি ইউনিয়ন প্লাবিত হতে পারে।
জানা গেছে, চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানির কারণে আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আত্রাইয়ের কাশিয়াবাড়ী সুইস গেট দিয়ে পানি প্রবেশ করে আত্রাইয়ের বাঁকা, জামগ্রামের ভিতর দিয়ে বয়ে আসা খাল দিয়ে আত্রাই নদীর ঢলের পানিতে রাণীনগর উপজেলার বড়গাছা ইউপির শলিয়া মাঠে পানি প্রবেশ করায় প্রায় ৮ টি পুকুর ডুবে গেছে যাতে করে পুকুরে মাছ চাষিরা আর্থিক ক্ষতির সম্মূখিন হয়েছে।
এছাড়াও ঐ এলাকার আমন চাষী কৃষকদের বীজতলা ডুবে গেছে এতে জনমনে চরম আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার সীমান্তবর্তী বেড়ীবাঁধ দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ছোট যমুনার পানি বাড়তি হলেই রাণীনগর উপজেলার প্রায় ৪টি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
উপজেলার শলিয়া গ্রামের পুকুর চাষী জনাব আলি মন্ডল ও নুরুজ্জামান জানান, হঠাৎ করে পানি প্রবেশ করায় আমার পুকুরের সব দেশীয় প্রজাতির মাছ গুলো বন্যার পানিতে ভেসে গেছে তাতে আমার প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম জানান, আত্রাইয়ের কাশিয়াবাড়ি এবং নান্দাইবাড়ি দিয়ে পানি প্রবেশ করে যে গুলো কৃষকের ক্ষতি হয়েছে সেটার তালিকা করে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বরাবরে প্রেরণ করবো।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা শিল্পি রায় জানান, যে গুলো পুকুর ডুবে যেয়ে মাছ ভেসে গেছে তাদের তালিকা করে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট পাঠাবো।