ঢাকার ৫ নদীর তীরে গড়ে ওঠা মসজিদসহ কোনো ধর্মীয় স্থাপনাই ভাঙা হবে না বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা সেগুলোকে আরো দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলতে চাই। যেন তা দেখে মানুষ মুগ্ধ হয়। নদী রক্ষার স্বার্থে কোনো ধর্মীয় স্থাপনা স্থানান্তরের প্রয়োজন হলে তা আলাপ আলোচনার ভিত্তিতেই করা হবে। এ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি না ছড়াতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএর প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী ও বালু নদীর তীরে অননুমোদিতভাবে গড়ে ওঠা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থানান্তর বিষয়ক এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন। মসজিদ, মন্দির, শশ্মান, স্কুলসহ শতাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে এসব নদীর তীরে।
তিনি আরো বলেন, আমরা বিষয়টিকে একটি প্রকল্প আকারে বাস্তবায়নের চিন্তাভাবনা করছি। এতে হয়তো দুই-আড়াই’শ কোটি টাকা খরচ হবে। এতে নদী তীরের ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলো সম্ভব হবে। এ নিয়ে ধর্ম, স্বরাষ্ট্র ও নৌ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি কমিটি করার কথাও বলেন তিনি।
সভায় জানানো হয়, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর এলাকায় অননুমোতিভাবে ১১৩টি ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এগুলোর মধ্যে ৭৭টি মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও মাজার, ৫টি কবরস্থান ও মৃত ব্যক্তির গোসলখানা, একটি ঈদগাহ, ১৪টি স্কুল ও কলেজ, ১৩টি স্নানঘাট ও মন্দিরসহ তিনটি অন্যান্য ধর্মীয় স্থাপনা রয়েছে।35