নিজস্ব প্রতিবেদক, নলডাঙ্গা:
নাটোরের নলডাঙ্গা ব্রহ্মপুর সরকারপাড়াগ্রামের সুমি আক্তার পারভীন(১৮) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুর মৃত্যু হয়। গৃহবধূর স্বামী মনির মন্ডল ও শাশুড়ি মাসুরা বেগম প্রাথমিকভাবে এটাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেবার চেষ্টা করে। কিন্তু নিহতের পিতা শহিদুল ইসলাম পুলিশকে জানায়, যৌতুকের(এক ভরি স্বর্ণ)জন্য অনেক দিন ধরেই তার মেয়েকে বিভিন্ন রকম অত্যাচার করে আসতো। এবং এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতর স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে গৃহবধূকে হত্যার কথা স্বীকার করেন আটকরা।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে উপজেলার মাধনগরের তেঘরিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে সুমি আক্তার পারভীনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য তার উপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন চলে। এর মধ্যেই গৃহবধূ গর্ভবতী হয় এবং স্বামী মনির মন্ডল জীবিকার তাগিদে ঢাকায় যান। নয় মাস পর গত সোমবার ছুটিতে বাড়িতে আসে এবং আবারো যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এক পর্যায়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ সুমি আক্তার পারভীনকে। পরে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেবার চেষ্টা করে তারা।
এ বিষয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, আটককৃতরা পরিকল্পিতভাবে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। বুধবার তাদেরকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।