নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ:
নওগাঁর ধামইরহাটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক তহিদুল ইসলামকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার রসুলপুর বাজার এলাকা থেকে আটক করেছে ধামইরহাট থানা পুলিশ।
এর আগে গত রোববার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলদার হোসেন স্থানীয় সাংবাদিক এম এ রাজ্জাক (৩৮) ও যুবদল নেতা তহিদুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধামইরহাট থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। এমএ রাজ্জাক নওগাঁর মান্দা উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পরানপুর গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিন সরদারের ছেলে। তিনি দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার মান্দা উপজেলা প্রতিনিধি। এছাড়া তিনি দৈনিক সত্যের সন্ধ্যান ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল শিক্ষাতথ্যডটকম- এর নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি।
যুবদল নেতা তহিদুল ইসলাম ধামইরহাট উপজেলার রসপুর গ্রামের মৃত নমির উদ্দিনের ছেলে। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ধামইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলদার হোসেন এবং তাঁর ছোট ভাই উপজেলার খেলনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালামকে নিয়ে একাধিক মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য সাজিয়ে এম এ রাজ্জাক সম্প্রতি দৈনিক সত্যের সন্ধ্যান পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল শিক্ষাতথ্যডটকম-এ সংবাদ প্রকাশ করে।
‘২ বিঘা জমি থেকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ’ শিরোনামে প্রকাশিত ওই সংবাদে দেলদার হোসেন ও তাঁর ভাই আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি করে সম্পদ অর্জন ও দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তোলা হয়। সেই সংবাদটি গত ২১ সেপ্টেম্বর ধামইরহাট বার্তা নামের একটি ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক তহিদুল ইসলাম।
দেলদার হোসেন বলেন, ‘আমাকে ও আমার ভাইয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক ও মানহানিকর তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তথ্য ফেসবুক পেজে ছড়িয়ে দিয়ে আমাদেরকে সামাজিকভাবে আরও হেয় ও মানসম্মান করা হয়েছে। আমার ধারণা কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় এই সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। আমি ন্যায় বিচার পেতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছি।’
ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মমিন জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলায় অপর অভিযুক্ত এমএ রাজ্জাক পলাতক রয়েছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।