শনিবার , নভেম্বর ১৬ ২০২৪
নীড় পাতা / কৃষি / ধান-চাল সংগ্রহে ১৭ দফা নির্দেশনা

ধান-চাল সংগ্রহে ১৭ দফা নির্দেশনা

চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ কর্মসূচি সফল করতে ১৭টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্র জারি হয়েছে। 

অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল ও তিন লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ হবে। প্রতি কেজি চাল ৪২ টাকা এবং প্রতি কেজি ধান ২৮ টাকা করে কেনা হবে। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত উপজেলাভিত্তিক বিভাজন মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। সংগ্রহ কার্যক্রম সফল করতে প্রয়োজনীয়  নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

ধান সংগ্রহে অবিলম্বে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভা করতে বলা হয়েছে। সংগ্রহ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। এজন্য উপজেলা পর্যায়ে কৃষকদের মধ্যে লটারি করে জরুরি ভিত্তিতে  সংগ্রহ শুরু ও শেষ করতে হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে কৃষকের অ্যাপভুক্ত উপজেলায় রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। 

ধান সংগ্রহের খবর মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, স্থানীয় কেবল টিভি স্ক্রলে মাধ্যমে বহুল প্রচারের ব্যবস্থা নিতে হবে। অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালা, ২০১৭ অনুসারে ধান ও চাল সংগ্রহ নিশ্চিত করতে হবে। ব্যত্যয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে চাল সংগ্রহের জন্য মিলারদের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে। চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পরপরই মিলারদের চালের বরাদ্দপত্র দিয়ে অনুলিপি জেলার ওয়েব পোর্টালে প্রকাশ করতে হবে।  

চুক্তিযোগ্য যেসব মিল মালিক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চুক্তি সম্পাদন করবেন না অথবা চুক্তি সম্পাদন করে চাল সরবরাহ করবেন না-এমন মিল মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ বছর পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতা অপেক্ষা বরাদ্দ কম। 

সুতরাং জাতীয় পর্যায়ে চাল সংগ্রহ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৭০ শতাংশ, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ৯০ শতাংশ এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শতভাগ সম্পন্ন করতে হবে। এ জন্য (তারিখ, পরিমাণ, সময়ভিত্তিক) শিডিউল তৈরি, জেলা, উপজেলা ও গুদামভিত্তিক রোডম্যাপ প্রস্তুত এবং সে অনুসারে সংগ্রহ সম্পন্ন করতেই হবে।  হাস্কিং মিলারদের ক্ষেত্রে চুক্তিকৃত চাল সটিং করে সংগ্রহ করতে হবে।

খাদ্য গুদামে কৃষকবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে যেন কোনোক্রমেই কৃষক হয়রানির শিকার না হয়। স্টেনসিল নিশ্চিত করতে হবে সংগৃহীত চালের বস্তায়। 

গুদামে স্থান সংকুলান না হলে চলাচলসূচি প্রণয়ন নীতিমালা, ২০০৮ অনুসারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, মহাপরিচালক (খাদ্য) স্ব স্ব অধিক্ষেত্রে বিধি মোতাবেক স্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে চলাচল সূচি জারি করবেন।  খালি বস্তার স্বল্পতা দেখা দিলে স্ব স্ব অধিক্ষেত্রের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

সংগ্রহ কার্যক্রমে সর্বোচ্চ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকগণের মনিটরিং জোরদার করতে হবে। সংগ্রহ ত্বরান্বিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক সর্বদা সর্বোচ্চ তৎপর ও সতর্ক থাকবেন।

প্রতিদিন বিকাল ৫টার মধ্যে সব আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে ধান ও চাল সংগ্রহের তথ্য ই-মেইলে খাদ্য অধিদপ্তরের সংগ্রহ বিভাগে প্রেরণ নিশ্চিত করতে হবে।  

জাতীয়ভাবে ১৭ নভেম্বর ধান ও চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়েছে। সুতরাং স্থানীয়ভাবে পুনরায় কোনো আনুষ্ঠানিকতার অজুহাতে  সংগ্রহ কার্যক্রম বিলম্বিত করা যাবে না।  অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ ২০২২-২৩ মৌসুম চলাকালীন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকবেন।

আরও দেখুন

লিটনের ছাদ বাগানে শোভা পাচ্ছে ৩৫ ধরনের ফলগাছ

    নিজস্ব প্রতিবেদক:   বাড়ির ছাদে সৌখিন ফলের বাগান করে সফলতা পেয়েছেন সিংড়ার তারেকুজ্জামান লিটন। তার …