নিজস্ব প্রতিবেদক
ধানের পর এবার পাটের দাম নিয়ে সংকটে নাটোরের কৃষকরা। পাটের বাম্পার ফলন হলেও বাজারে দাম কম থাকায় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। সরকার পাটের দাম নির্ধারণ না করে দেয়ায় এবং সরকারী পাটকলের ক্রেতারা বাজারে না আসায় মধ্যস্বত্ব ভোগীদের খপ্পরে পড়ে লোকসান গুণতে হচ্ছে কৃষকদের।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে নাটোরে এবার ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। আগের বছর গুলোতে বিঘা প্রতি পাটের ফলন হয়েছে ৭ থেকে ৮ মণ। এবার ফলন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০-১২ মণ। এক বিঘা জমিতে পাট উৎপাদনে খরচ হয়েছে ১৪-১৬ হাজার টাকা। বাজারে পাট বিক্রি হচ্ছে ১৪ শ থেকে ১৬ শ টাকা মণ দরে। এই অবস্থায় পাটের ন্যায্য দাম না পেলে পাট চাষে আগ্রহ হারাবে কৃষকরা।
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পাট হাটে আগত কৃষকরা জানান, অন্ততঃ দুই হাজার থেকে বাইশ ’শ টাকা দাম না পেলে পথে বসবে তারা।
সরকারী পাট ক্রয়কেন্দ্রগুলো গত তিন অর্থবছরের টাকা এখনো পরিশোধ না করায় এবার ক্রয় কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা হাটে এসে পাট কিনতে পারছেননা। এমন একজন ব্যাপারীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, হাট থেকে পাট কিনে পরিবহন খরচ দিয়ে সরকারী গুদাম বা মিলারদের কাছে পাট বিক্রি করতে গেলে তারা ১৫/১৬’শ টাকার বেশি দর পাচ্ছেন না। তাই ১৪/১৫’শ টাকার বেশি দরে তারা পাট কিনতে পারছেন না। আবার পূর্বের অর্থবছরের টাকাও তারা মিলারদের কাছে এখনও পাননি।
নাটোর জুট মিলস্ লিঃ এর সিইও সোহন কুমার আগরওয়ালা নারদ বার্তাকে জানান, তারা সরাসরি হাট থেকে নগদ মূল্যে কৃষকের কাছ থেকে পাট কিনছেন।
ব্যবসায়ীরা বাকিতে পাট কেনার কথা বললেও তিনি জানান, তারা কখনো বাকিতে পাট কেনেন না। তারা ন্যায্য মূল্যেই পাট ক্রয় করছেন এবং প্রতি মণ পাট ১৭শ-২১শ টাকা দরে ক্রয় করছেন।
এ ব্যাপারে নাটোরের জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ এক সাক্ষাৎকারে নারদ বার্তাকে জানান, তিনি বাজার তদারকি করে দেখবেন। কৃষকরা যাতে পাটের ন্যায্য মূল্য পান তার জন্যে তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবেন।
সরকার দ্রুত পাটের দাম নির্ধারণ করে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে পাট ক্রয় করবেন বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী।