শুক্রবার , নভেম্বর ১৫ ২০২৪
নীড় পাতা / আইন-আদালত / ধরাছোঁয়ার বাইরে খুর রবি

ধরাছোঁয়ার বাইরে খুর রবি

বিশেষ প্রতিবেদক:
ধরাছোঁয়ার বাইরে নাটোরের সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা রবিউল ইসলাম খুর রবি। যুবদল থেকে সরাসরি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ পাওয়া এবং ৮ বছরের মধ্যেই কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া এই রবিউল ইসলাম রবি এখন টক অব দ্য কান্ট্রি।

তিনি আলোচনায় আসেন গত ৬ সেপ্টেম্বর সকালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলীর স্ত্রী শিল্পী বেগম কে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যার পরে। এই হত্যাকাণ্ডের পরের দিন নিহতের বোন শিউলি বেগম তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হলেও রবিবার তার সাঙ্গপাঙ্গদের এখনো ধরতে পারেনি পুলিশ। ওই একই দিন শিল্পীর বোন লাভলীকেও হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করা হয় তিনি এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শিউলি জানান, হত্যাকারীরা আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের বাড়ির ধান বেচা কেনা করছে গরু বেচাকেনা করছে কিন্তু পুলিশ তাদের আটক করছে না।
তিনি আরো জানান, হত্যাকারীরা আবারো আস্ফালন করছে বাদবাকি যে কয়জন বেঁচে আছে তাদেরও শেষ করে দেওয়া হবে। টাকার বিনিময়ে সব কিনে নেয়া হবে।

শিল্পীর ভাই মাঝে জানান এখনো রবি, রুবেল, বিলাসের লোকজন মাঠে সক্রিয় রয়েছে। তারা রুবেলের এবং রবির সুদের কারবার সামাল দিচ্ছে। এখনও তারা দখল করা পুকুর থেকে মাছ মারছে। সুদের টাকা আদায়ের জন্য লোকজন কে ধরে নিয়ে এসে মারধর করছে। কিন্তু পুলিশের কোনো তৎপরতা নেই।

তিনি আরো জানান, তারা জীবনের নাশের আশঙ্কায় দিনাতিপাত করছেন। রবিউল ইসলাম রোগের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে রাজি নয় কেউ। এতটাই আতঙ্কে আছেন চৌগ্রাম সহ আশেপাশের এলাকার লোকজন। তার বিরুদ্ধে টু-শব্দটি করতে কেউ পারেনা।

তার উত্থান নিয়ে নানা রকম অবিশ্বাস্য গল্প কথা রয়েছে। এর উত্থানের পেছনে ভোলা চেয়ারম্যানের হাত রয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেছেন চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম ভোলার দক্ষিণ হস্ত বলে পরিচিত রবিউল ইসলাম রবি এবং ফারুক এর অপকর্মের ঘটনা কারো অজানা নয়।

কর্মী হতাশা ব্যক্ত করে বলেছেন, রবি তাদের ব্যক্তিগত পুকুর জবরদখল করে রাখলেও ভোলা চেয়ারম্যান এর শরণাপন্ন হলে তিনি কোনো সহযোগিতা করেননি।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য চেয়ারম্যান ভোলার সঙ্গে একাধিকবার তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে প্রথমে তিনি ফোন রিসিভ করেননি পরবর্তীতে ফোনটি সুইচ অফ পাওয়া যায়। অনেক চেষ্টার পর তিনি ফোন রিসিভ করেন এবং জানান, তার বিরুদ্ধে এগুলো সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র। তিনি কোনো অন্যায় কে প্রশ্রয় দেন না। এর আগেও বিভিন্ন অভিযোগে রবিকে সতর্ক করা হয়েছিল। দুর্ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগ তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে বহিষ্কার করে। এইরকম ব্যক্তি সন্ত্রাসের দায় কখনোই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অথবা উপজেলা আওয়ামী লীগ তথা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিবেনা।

পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আসামিদের আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে। আসামিরা অত্যন্ত ধুরন্ধর প্রকৃতির হয় দ্রুত স্থান পরিবর্তন করছে তাই একটু সময় লাগছে তাদের গ্রেপ্তার করতে।

তার পরেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই রবিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে দলের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসী গডফাদারদের শাস্তির আওতায় আনবে বলে মনে করে এলাকাবাসী এবং দলীয় নেতাকর্মীরা।

আরও দেখুন

বিএনপির সাবেক এমপি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে হামলা-দখলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ,,,,,,,,,,চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক …