সোমবার , ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / দ্রুত বাণিজ্যক উৎপাদনে যাবে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২য় ইউনিট

দ্রুত বাণিজ্যক উৎপাদনে যাবে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২য় ইউনিট

নিউজ ডেস্ক:

শিগগিরই বাণিজ্যক উৎপাদনে যাবে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে পরীক্ষামূলকভাবে সরবরাহ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, রামপালে অবস্থিত কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট উৎপাদনে যাওয়ার পর এবার দ্বিতীয় ইউনিট থেকে নিয়মিত বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

স্বল্প সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে নিয়মিত ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হবে। ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টটির ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চালু আছে। ইতোমধ্যে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দ্বিতীয় ইউনিটের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।

গত ২৮ জুন সকাল ৮টা ৫১ মিনিটে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট মধ্যে ১৪২ মেগাওয়াট জাতীয় গ্রীডে সফলভাবে যুক্ত হয়েছে। আগস্ট মাস থেকে এই ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়মিত জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হবে।

বিআইএফপিসিএল-এর প্রকল্প পরিচালক অতনু দত্ত বলেন, কৌশলগত পরিকল্পনা এবং প্রকল্পে কর্মরত সদস্যদের সার্বক্ষণিক কঠোর পরিশ্রমের ফলে আমরা দ্বিতীয় ইউনিট চালু করতে সক্ষম হয়েছি। এখন দ্বিতীয় ইউনিটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।

বিআইএফপিসিএল‘র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ আকরাম উল্লাহ বলেন, মৈত্রী প্রকল্প বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব ও দৃঢ় বন্ধনের প্রতীক। দেশ-বিদেশের কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিশেষজ্ঞদের প্রচেষ্টায় আমরা দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি।

বিআইএফপিসিএল সূত্র জানায়, নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড নামে বাংলাদেশ এবং ভারতের যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসিলি যৌথভাবে এই কোম্পানি গঠন করেছে। দুই দেশের দুইরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এই কোম্পানির সমান অংশীদার। বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে উভয়ের মধ্যে ২০১২ সালের ৩০ আগষ্ট বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসি লিঃ এর মধ্যে চুক্তি হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২০০ কোটি ডলার। এই কোম্পানির অধীনে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) নামে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়। রমাপাল উপজেলার রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নে ৯১৫ একর জমি উপর রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। গত বছর ১৫ আগস্ট জাতীয় গ্রীডের সাথে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ (ট্রান্সমিশন) শুরু হয়। পরে ২৩ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় গ্রীডে বাণিজ্যিকভাবে যুক্ত হয় এখানের প্রথম ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

বিআইএফপিসিএল উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম জানান, গত ৩০ জুন রাত থেকে কারিগরি ত্রুটি, ইনস্পেকশন ও মেইন্টেন্যান্সের কাজের জন্য প্রথম ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হলেও আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আবারও উৎপাদন শুরু করা যাবে বলে আশা করছি। কয়লা পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, কেন্দ্রে বর্তমানে পর্যাপ্ত কয়লা রয়েছে। আগামী ৭ জুলাই আরো ৫৫ হাজার মেট্রিকটন কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছাবে। বর্তমানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কোন কয়লা সংকট নেই।

আরও দেখুন

পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!

নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …