নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত ২০১০ সালের ভয়াবহ ধসের এক দশক পরে গতি এসেছে দেশের পুঁজিবাজারে। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন বছরের প্রথম কার্যদিবসে একদিনে ৮ বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সূচক বেড়েছে। করোনা অতিমারীর কারণে নতুন বিনিয়োগের সুযোগ সঙ্কুচিত হওয়া, ব্যাংক আমানতে সুদের হার কমে যাওয়া, সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি এবং পুঁজিবাজারে নিঃশর্তে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ায় পুঁজিবাজার নিয়ে সব ধরনের মানুষের আগ্রহও দেখা যাচ্ছে। নতুন আশায় দীর্ঘদিনের নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারীরাও আবার সক্রিয় হয়ে ওঠেছেন বাজারে। গত দুই মাসে দেড় লাখের বেশি বিনিয়োগকারী নতুন পুঁজিবাজারে এসেছেন। তাদের আশা করোনার মধ্যে ২০২০ সালে যেভাবে পুঁজিবাজার দ্যুতি ছড়িয়েছে ২০২১ সালে আরও তেজিভাব বজায় রাখতে পারবে। এরই অংশ হিসেবে বছরের প্রথম কার্যদিবস রবিবারে প্রধান শেয়ারবাজারে সার্বিক সূচক একদিনে সর্বোচ্চ ২১৬ পয়েন্ট বেড়েছে। সব ধরনের সূচকই বেড়েছে ৫ শতাংশের কাছাকাছি। এছাড়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন হয়েছে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারে নিয়মিত টাকার প্রবাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূচক ইতিবাচক থাকলেও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টরা বিনিয়োগকারীদের দেখে শুনে ভাল শেয়ারে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সুরক্ষায় পুঁজিবাজারটিতে কঠোর নজরদারির দাবিও জানানো হয়েছে। অতীতের মতো বড় কেলেঙ্কারি যেন ফের না ঘটে সেইদিকেও খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেছেন, আগামী ৬ মাসের মধ্যে পুঁজিবাজারকে একটি স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে। মৌল ভিত্তিসম্পন্ন ভাল কোম্পানির আরও আইপিও অনুমোদনের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের গভীরতা বাড়ানো হবে। এই বাজারকে নিয়ে কোন বড় গোষ্ঠী ইচ্ছা করলেই আর খেলা করতে পারবে না।
জানা গেছে, বিগত ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ছিল বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য সুবর্ণ সময়। ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে স্মরণকালের বড় ধসের আগ পর্যন্ত কমবেশি সবাই মুনাফা করতে পেরেছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই বড় ধরনের ধস নামে বাজারে। একের পর এক দুর্বল কোম্পানির আইপিও অনুমোদন, বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজ করলেও আস্থা ফেরাতে ব্যর্থতা ও বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতায় তলানিতে নেমে আসে বাজারটি। এরই মধ্যে চলতি মার্চে দেশে অতিমারী করোনা সংক্রমণে পুঁজিবাজার বাধ্য হয়ে ৩৮ কার্যদিবস লেনদেন বন্ধ রাখতে হয়। যেটি বিশ্বের আর কোন দেশেই হয়নি। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থায় নতুন কমিশনের উদ্যোগে গত জুন থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে পুঁজিবাজার।
বাজারসংশ্লিষ্ট সব পক্ষ মনে করেন, বাজারের গতি ধরে রাখতে হলে ভাল শেয়ারের পাশাপাশি নতুন পণ্য যুক্ত করতে হবে। এ জন্য দ্রুত বন্ড মার্কেটকে জনপ্রিয় করার কথাও বলেন কেউ কেউ। তাদের মতে, শুধু মূলধননির্ভর (ইক্যুইটি) বাজার দিয়ে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাবে না। আবার ব্যাংকনির্ভর বা ব্যবসায়ীদের সাময়িক বিনিয়োগনির্ভর বাজারের ধারা থেকে বেরিয়ে বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোরও পরামর্শ দিয়েছেন কেউ কেউ।
পুঁজিবাজারের সামগ্রিক বিষয়ে জানতে চাইলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, পুঁজিবাজারে আইন লঙ্ঘন করে কোন ধরনের কার্যক্রম চালাচ্ছে হচ্ছে কিনা, সে বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। পাশাপাশি বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়াতে নানা ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি নিরসনে বন্ড মার্কেট কার্যকর করার চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া দ্রুততম সময়ে নতুন ও ভাল কোম্পানিকে বাজারে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থকে কমিশন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।
চলতি মার্চে করোনা সংক্রমণের কারণে ভীত হয়ে বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপে একদিনেই পুঁজিবাজারে বিগত আট বছরের বেশি সময়ের ব্যবধানে বাজারে সূচকের সর্বোচ্চ পতন ঘটে। বাজার পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কায় গত ১৯ মার্চ থেকে লেনদেন এক ঘণ্টা কমিয়ে আনা হয়। পুঁজিবাজার সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অর্থমন্ত্রী, বিএসইসির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নরসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে পুঁজিবাজারের পতন ঠেকাতে শেয়ারের দামের সর্বনিম্ন মূল্য বেঁধে দেয় বিএসইসি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়পোযোগী সিদ্ধান্তে করোনাকালে পুঁজিবাজারে বড় পতন থেমেছিল। একইসঙ্গে বর্তমান পুনর্গঠিত সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের বহুমাত্রিক কার্যক্রমে পুঁজিবাজার নতুন করে সবার মাঝে আশার আলো জাগাচ্ছে। ২০২১ সালে পুঁজিবাজারের আলো আরও ছড়াবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রথমদিনের লেনদেনেই বোঝা যাচ্ছে চলতি বছর হবে পুঁজিবাজারের বছর।
বাজারসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আইপিও অনুমোদনের বৈচিত্র্য এসেছে। স্থানীয় ইলেক্ট্রনিকস জায়ান্ট ওয়ালটন ও মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটার তালিকাভুক্তি বিনিয়োগকারীদের নতুন করে পুঁজিবাজারে সক্রিয় হতে উৎসাহিত করেছে। এই দুই কোম্পানির তালিকাভুক্তি ও পুঁজিবাজারের চাঙ্গাভাব ডিএসইর বাজার মূলধনকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়। গত বুধবার দিন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন ৪ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়, যা ডিএসইর ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৩২ শতাংশ। করোনা সংক্রমণের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ২ লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকায় নেমেছিল। চলতি বছরে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ সমূহের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন টু জিডিপির অনুপাত দাঁড়ায় ১৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, যা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম।
মহামারীর মধ্যে লেনদেন পুনরায় শুরুর মাত্র তিন মাসেই চাঙ্গাভাব ফিরে আসে, যা বছরের অবশিষ্ট সময়েও অব্যাহত থাকতে দেখা গেছে। সরকারী উদ্যোগ ও বিএসইসির কিছু কার্যকরী পদক্ষেপে দশ বছর পর প্রাণ ফিরে পায় বাজার। তলানিতে নেমে যাওয়া পুঁজিবাজারে সহায়তা করতে ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারী নির্দেশে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এছাড়া ব্যাংক আমানতের সুদহার সর্বোচ্চ ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা, তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণসহ জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন ও সুশাসনে পদক্ষেপ বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে সহায়তা করেছে। ফলে করোনার মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দিনের লেনদেন দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। লকডাউন-পরবর্তী সূচকে বড় উত্থানের কারণে গত আগস্টে বিশ্বসেরা পুঁজিবাজারে অভিহিত হয় ডিএসই।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ৩৮ কার্যদিবস বন্ধ থাকার পরও ২০১৯ সালের তুলনায় ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি লেনদেন হয়েছে। ডিএসই জানিয়েছে, চলতি ২০২০ সালে ডিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা, যা ডিএসইর ইতিহাসে পঞ্চম সর্বোচ্চ লেনদেন এবং আগের বছরের চেয়ে ২১ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা বেশি। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে ডিএসইর গড় লেনদেনও ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। এ বছর গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬৪৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, যা আগের বছর ছিল ৪৮০ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
এদিকে অতিমারীর বছরে মোট ৮টি কোম্পানি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে ৯৮৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা মূলধন সংগ্রহ করে। ২০১৯ সালে একটি কর্পোরেট বন্ডসহ মোট ৯টি সিকিউরিটিজ আইপিওর মাধ্যমে মোট ৬৫২ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করেছিল। অতিমারীর বছরে শেষার্ধে চাঙ্গাভাব ফিরে আসায় বেশিরভাগ শেয়ারের দর বাড়তে দেখা গেছে।
যার প্রভাব পড়েছে ডিএসইর বিভিন্ন সূচকে। চলতি বছরের মার্চে ডিএসইর প্রধান সূচকটি ৩৬০৩ পয়েন্টে নেমে এলেও বছর শেষে তা ৫ হাজার ৪০২ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২১ শতাংশ। একই সময়ে ডিএসই ৩০ সূচক ২৯.৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ৯৬৩.৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সালে ডিএসইতে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের লেনদেন বিগত তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল। যদিও এ লেনদেনের বড় অংশ এসেছে শেয়ার বিক্রি থেকে। এ সময় বিদেশীদের মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৭ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা। ২০২০ সাল শেষে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজসমূহের মূল্য আয় অনুপাত বা মার্কেট পিই দাঁড়ায় ১৫ দশমিক শূন্য ০৯। খাতওয়ারি হিসেবে সর্বনিম্ন মূল্য আয় অনুপাত বা মার্কেট পিই ছিল ব্যাংকিং খাতের, যার মার্কেট পিই ৮.১০।
ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, করোনা অতিমারীর মধ্যেও বিনিয়োগকারীদের বছরটা ছিল স্বস্তির। নিয়ন্ত্রক সংস্থার পুঁজিবাজার ইস্যুতে একের পর এক চমক পদক্ষেপে বিনিয়োগকারীদের মাঝে দ্রুত আস্থা ফিরে। এর ফলে দীর্ঘ এক বছর পাঁচ মাস পর মধ্যে পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেনের নয়া রেকর্ড সৃষ্টি করছে। মূলত করোনা মহামারীর মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থার আন্তরিকতার ফলে এ রেকর্ড সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ২০২১ সালে দেশের পুঁজিবাজার ২০২০ সালের চেয়ে ভাল করবে। বন্ড মার্কেট ভাল হবে, এসএমই বোর্ড চালু হবে। ভাল ভাল কোম্পানি আরও তালিকাভুক্ত হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ বিষয় জানতে চাইলে বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থায় পরিবর্তনের পর থেকে বাজারে চাঙ্গাভাব দেখতে পাচ্ছি আমরা। কিন্তু আমরা এটিও দেখছি ভাল কোম্পানির চেয়ে বেশি হারে বাড়ছে খারাপ কোম্পানির দামও। এমনকি অস্তিত্বহীন কোম্পানির দামও অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। খালি চোখেই বোঝা যাচ্ছে কারসাজির নানা ঘটনা। কারসাজি রোধে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে আরও কঠোর হতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগ গুরু হিসেবে খ্যাত ওয়ারেন বাফেটের মতে, শেয়ারের লাভ করতে হবে কেনার সময়ই। তাই তিনি তেজি বাজারে শেয়ার কেনার পক্ষপাতি ছিলেন না। কিন্তু আমাদের বাজারে দেখা যায় ঠিক উল্টোটি। দাম কমতে শুরু করলে বাজার ছাড়েন বিনিয়োগকারীরা। আর দাম বাড়তে থাকলে বাজারমুখী হন।
বাজার পরিস্থিতি ॥ নতুন বছরের প্রথম কর্মদিবস রবিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স সূচকের সর্বোচ্চ উত্থান হয়েছে। সূচকটি একদিনে ২১৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬১৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে; যা গত ২১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থান সূচকটির।
সূচকটি শুধু সর্বোচ্চ অবস্থানেই পৌঁছায়নি। রবিবার একদিনের ব্যবধানে সূচকটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উত্থানও হয়েছে। যা সূচকটি চালু হওয়ার ৮ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উত্থান। এর আগে ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি সূচকটি একদিনের ব্যবধানে সর্বোচ্চ ২৩২ পয়েন্ট বেড়েছিল।
প্রসঙ্গত, ডিএসইতে ডিএসইএক্স সূচকটি ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি ৪০৫৬ পয়েন্ট নিয়ে যাত্রা শুরু করে। এরপরে বিগত ৮ বছরের মধ্যে সূচকটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উত্থান হয়েছে।
ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেনও বেড়েছে বড় ব্যবধানে। রবিবার ডিএসইতে এক হাজার ৯২৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা গত ৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন ডিএসইতে। এর আগে গত ২৮ জুন ডিএসইতে গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের মালিকানা বদলকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫৪৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। রবিবার ডিএসইতে আগের দিন থেকে ৩৮২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে। গত বছরের শেষ কর্মদিবস বুধবার লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৫৪৩ কোটি ২৭ লাখ টাকার।