নিউজ ডেস্ক:
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর করতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য। বিশেষ করে রাজনৈতিক, জলবায়ু এবং বিমান পরিবহন খাতে সম্পর্ক গভীর করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে দেশ দুইটি।
সোমবার (১৯ জুন) লন্ডনে যুক্তরাজ্যের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভেলিনের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বৈঠক হয়। এসময় এই ঐকমত্যে পৌঁছান তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস এবং রানি ক্যামিলার রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারায় আনন্দ প্রকাশ করেন শাহরিয়ার আলম। পাশাপাশি মার্লবোরো হাউসে শেখ হাসিনা ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের মধ্যকার ফলপ্রসূ বৈঠকের বিষয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগদান করায় ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার সরকারের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে খুশি হয়েছেন বলেও জানান।
এছাড়া তিনি গতমাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্য সফরের সময় বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য সরকারের মধ্যে এভিয়েশন ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পার্টনারশিপের যৌথ চুক্তি সইয়ের বিষয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা এবং রোহিঙ্গা শিবিরে মানবিক সহায়তা ও রাজনৈতিক সমর্থনের জন্য ব্রিটিশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি জোর দিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা সংকট যেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টির বাইরে না যায়।
জবাবে অ্যান-মেরি ট্রেভেলিন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের উদারতার প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে এই বিষয়ে যুক্তরাজ্যের জড়িত থাকার বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি জাহাজ রিসাইকেল শিল্প পরিচালনার বিষয়ে হংকং কনভেনশনে বাংলাদেশের যোগদানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। এসময় তিনি বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে সামুদ্রিক নিরাপত্তা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে দুই নেতা কমনওয়েলথ বিষয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে আসন্ন কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামসহ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
এসময় যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এবং এমওএফএ’র মহাপরিচালক (পশ্চিম ইউরোপ ও ইইউ) কাজী রাসেল পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।