নিউজ ডেস্ক:
রমজান সামনে রেখে গত কয়েক মাসে চাহিদার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ ভোগ্যপণ্য আমদানি হয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সরকারী বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা-টিসিবি প্রথমবারের মতো দ্বিগুণ পরিমাণ নিত্যপণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে সারাদেশে। সংস্থাটির মূল লক্ষ্য, রোজায় স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে সস্তায় ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ এবং খেজুরের মতো ভোগ্যপণ্য পৌঁছে দেয়া। সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করতে সরকারের সর্বোচ্চ নজর এখন বাজারের দিকে। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও নিত্যপণ্যের বাজার তদারকি করা হচ্ছে। এ কারণে ভোগ্যপণ্য নিয়ে ক্রেতাদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও বাণিজ্য সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন। তারা বলছেন, দেশে ভোগ্যপণ্যের কোন সঙ্কট নেই। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রেতা-বিক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারবেন। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে সরকারী-বেসরকারী খাতে। রবিবার দ্রব্যমূল্য সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের জরুরী বৈঠক ডাকা হয়েছে।
জানা গেছে, রমজান সামনে রেখে এবার তিন মাস আগে থেকে আমদানির প্রস্তুতি নিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে গত বছরের ডিসেম্বর মাসের শুরুতে ভোগ্যপণ্যের আমদানি বাড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়। সরকারী সেই পরামর্শ গ্রহণ করে দেশে ভোগ্যপণ্যের আমদানি ও বাজারজাতকারী জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বিপুল পরিমাণ চাল, ডাল, ছোলা, ভোজ্যতেল, চিনি, গম, পেঁয়াজ, মসলাপাতি এবং খেজুর আমদানি করে। ইতোমধ্যে আমদানিকৃত পণ্যের বড় অংশ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস হয়ে পৌঁছে গেছে দেশের বড় বড় পাইকারি বাজারগুলোতে। আমদানিকৃত পণ্যে ঠাসা এখন চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ এবং ঢাকার মৌলভীবাজার, বেগম বাজার, বাদামতলী, মোহাম্মদপুর এবং শ্যামপুর কৃষিপণ্যের মার্কেট। ভোগ্যপণ্যের জায়ান্ট গ্রুপ হিসেবে খ্যাত এস আলম গ্রুপ, নূরজাহান গ্রুপ, মোস্তফা গ্রুপ, বিএসএম গ্রুপ, এমইবি গ্রুপ, পিএইচপি ফ্যামিলি ও আবুল খায়ের গ্রুপ, সিটি গ্রুপ ও মেঘনা গ্রুপ রোজা সামনে রেখে বিপুল পরিমাণ ভোগ্যপণ্য আমদানি করেছে।
একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, শুধু রোজা সামনে রেখে ২৫টি দেশ থেকে প্রায় ১০-১২ হাজার কোটি টাকার ভোগ্যপণ্য আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে ছোলা, তেল, দুধ, চিনি, খেজুর মটর, মসুরসহ বিভিন্ন ধরনের ডাল। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আমদানিকারকদের সঙ্গে জরুরী বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বৈঠক শেষে তিনি জানান, চাহিদার তুলনায় বেশি পণ্য আমদানি করা হয়েছে। এছাড়া ওই বৈঠকে পণ্যমূল্য বাড়বে না বলেও আমদানিকারকদের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। যদিও এরই মধ্যে ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, ডাল এবং খেজুরের মতো কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। তবে কমেছে পেঁয়াজসহ কয়েকটি মসলাপাতির দাম। মুরগি ও মাছ-মাংস চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর বাজারে। সরবরাহ কমায় বেড়ে গেছে সব ধরনের শাক-সবজির দাম।
এ অবস্থায় রোজা শুরু হলে বাজার পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়ায় তা নিয়ে চিন্তিত মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন জনকণ্ঠকে বলেন, রোজার সময় এবার কোন জিনিসপত্রের দাম আর বাড়বে না। যা বাড়ার ইতোমধ্যে বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, বিপুল পরিমাণ ভোগ্যপণ্য আমদানি হয়েছে। এবার তা বিক্রি করার সময়। বেশি মুনাফার আশায় কোন পণ্য মজুদ করা হলে লোকসান গুনতে হবে। গত কয়েক বছর ধরে সেটাই দেখছি। এ কারণে মুনাফা তুলতে হলে বাজারে পণ্য ছেড়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, পণ্য মজুদেরও কোন সুযোগ নেই। রোজার আগে সরকারী বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে বিশেষ বাজার মনিটরিং শুরু হবে যা চলবে পুরো মাসজুড়ে। এ ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, এসব উদ্যোগের পাশাপাশি ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ- টিসিবিও দ্বিগুণ পণ্য নিয়ে মাঠে রয়েছে। রমজানে বেশি ব্যবহার হয় এমন ছয়টি ভোগ্যপণ্য ভর্তুকি মূল্যে টিসিবি বিক্রি করছে।
রোজায় চাহিদা বাড়ে এমন ছয় পণ্য নিয়ে বিশেষ উদ্যোগ ॥ রোজায় চাহিদা বাড়ে এমন ছয় পণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি এবং ন্যায্যমূল্যে বিক্রির বিশেষ উদ্যোগ রয়েছে। এই ছয় পণ্যের মধ্যে রয়েছে- ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ, ডাল ও খেজুর। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশে সারা বছর ভোজ্যতেলের চাহিদা ২১ লাখ টন, যার ৯০ শতাংশই আমদানি করতে হয়। কেবল রোজার মাসে ভোজ্যতেলের চাহিদা থাকে ৪ লাখ টনের মতো। সারা বছরের জন্য প্রয়োজন হয় ১৮ লাখ টন চিনি, এর মধ্যে ৩ লাখ টনের চাহিদা থাকে কেবল রোজার সময়। সারা বছর যেখানে ৫ লাখ টন মসুর ডাল লাগে, সেখানে রোজায় চাহিদা থাকে ৮০ হাজার টনের মতো। ডালের চাহিদা মেটাতে ৫০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। বছরে ৮০ হাজার টন ছোলার প্রয়োজন হয় দেশে, যার ৮০ শতাংশই ব্যবহার হয় রোজার মাসে। এ সময় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় পেঁয়াজের। ২৫ লাখ টন বার্ষিক চাহিদার ৫ লাখ টনই ব্যয় হয় রোজার সময়। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অনুবিভাগ) এএইচএম সফিকুজ্জামান জনকণ্ঠকে বলেন, ১৭টি ভোগ্যপণ্যকে নিত্যপ্রয়োজনীয় মনে করা হলেও রোজা সামনে রেখে আপাতত ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, পেঁয়াজ, ছোলা ও খেজুরের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কাজ শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঢাকার মৌলভীবাজারে সারাদেশের ভোগ্যপণ্য আমদানিকারদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসেছি। সব আমদানিকারককে নিয়ে একটি এডহক কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। বাজারে ন্যায্যমূল্যে ভোগ্যপণ্য বিক্রির বিষয়টি নিয়ে এই কমিটি কাজ করবে। এছাড়া আমদানি পরিস্থিতির বিষয়েও সরকারকে প্রয়োজনীয় তথ্যদিয়ে এই কমিটি সহযোগিতা করবে।
দ্বিগুণ পণ্য নিয়ে মাঠে টিসিবি ॥ রোজা সামনে রেখে এবারই প্রথমবাবের মতো দ্বিগুণ পণ্য নিয়ে ‘ট্রাকসেল’ বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে টিসিবি। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে পবিত্র রোজা শুরু হতে পারে। তবে ক্রেতাদের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে ১ এপ্রিল থেকে টিসিবি বিক্রি কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। সংস্থাটির এই কার্যক্রম শুক্রবারসহ পুরো রমজান মাসজুড়ে চলবে। এতে ক্রেতারা সস্তায় নিত্যপণ্য সামগ্রী কিনতে পারবেন। ঘরে বসে অনলাইনে অর্ডার দিয়ে টিসিবির পণ্যসামগ্রী কিনতে পারবেন নগরবাসী। রমজান সামনে রেখে ৬টি নিত্যপণ্যের নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকারী বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবি। নতুন দর অনুযায়ী একজন ক্রেতা দিনে ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ চার কেজি চিনি, ৫৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল, ১০০ টাকা দরে পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল এবং ২০ টাকা দরে পাঁচ কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। এছাড়া রমজান উপলক্ষে দুই কেজি ছোলা প্রতি কেজি ৫৫ টাকা দরে এবং এক কেজি খেজুর ৮০ টাকা দরে পাবেন। এতে প্রতি কেজি তেলের দাম বেড়েছে ১০ টাকা, ডাল ও চিনির দাম বাড়ানো হয়েছে কেজিতে ৫ টাকা। বাজার পরিস্থিতির কারণে পণ্যের দাম বাড়িয়েছে টিসিবি। চলমান ৪০০ ট্রাকের মাধ্যমে ভোজ্যতেল, চিনি, মসুর ডাল ও পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রম বাড়িয়ে রমজান উপলক্ষে দ্বিতীয় ধাপে ট্রাকের সংখ্যা হবে ৫০০টি। এর মধ্যে রাজধানীতে পণ্য বিক্রি করবে ১০০ ট্রাক।
টিসিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোজা সামনে রেখে এ মুহূর্তে আড়াই কোটি লিটার ভোজ্য তেল, ১৭ হাজার টন ডাল, ৬০০ টন ছোলা, ১৩ হাজার টন চিনি ও অন্যান্য পণ্যের মজুদ নিয়ে সুলভ মূল্যের বাজার ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি নিয়েছে টিসিবি। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ভোজ্যতেলসহ আরও কিছু পণ্য আমদানির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ প্রসঙ্গে টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফুল হাসান সম্প্রতি বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় দ্বিগুণ মজুদ সক্ষমতা নিয়ে রোজার আগে মাঠে থাকবে টিসিবি। আরও কিছু পণ্যের মজুদ বাড়াতে বিভিন্ন উৎস থেকে পণ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।
ভারত থেকে আসছে পেঁয়াজ ॥ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এবার রোজা সামনে রেখে ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি দেশীয় উৎপাদনও ভাল হয়েছে। ফলে কমে আসছে পেঁয়াজের দাম। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের খুচরা বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবার কমেছে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। প্রকারভেদে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি আট থেকে ১০ টাকা কমেছে। আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। খুচরা বাজারে ৩০-৩৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে পেঁয়াজ। রোজায় পেঁয়াজের চাহিদা অনেক বাড়বে। তবে আমদানি কার্যক্রম চালু থাকায় এ পণ্যটি নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
করোনা বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোগ্যপণ্যের কেনাকাটা ॥ করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশেষ করে প্রয়োজনীয় মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করে ভোগ্যপণ্যের কেনাকাটা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ বাড়াতে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে সরকারী- বেসরকারী খাত। সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি ও মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে ভোগ্যপণ্যের বাজার ও পণ্যের দাম বাড়া নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কোন প্রয়োজন নেই বলে মনে করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোগ্যপণ্যের মার্কেট সব সময় চালু থাকবে। ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ বাড়ানো হবে। ক্রেতারা বাজারে গিয়ে ন্যায্যমূল্যে কেনাকাটা করতে পারবেন। তবে যারা বাজারে যাবেন তাদের মাস্ক ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য উপকরণ ব্যবহারে সচেষ্ট থাকতে হবে।
জানা গেছে, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ২০২০ সালে অনেক পণ্য আমদানি কমেছে। মূলত শিল্প-কারখানার উৎপাদন কমে আসা, লকডাউনে অচলাবস্থার কারণে এসব পণ্য আমদানি কমেছে। কিন্তু ব্যতিক্রম ভোগ্যপণ্য আমদানি। করোনার এই সময়ে দেশে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা কমলেও আমদানি একেবারেই কমেনি। বরং ভোগ্যপণ্যের আমদানি উল্টো বেড়েছে। আসন্ন রোজা সামনে রেখে দেশে নিত্যপণ্যের আমদানি আরও বেড়েছে। শুধু রোজা সামনে রেখে দেশে প্রায় ১০-১২ হাজার কোটি টাকার ভোগ্যপণ্য আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে ছোলা, তেল, দুধ, চিনি, খেজুর, মটর, মসুরসহ বিভিন্ন ধরনের ডাল। ব্যবসায়ীরা এবার আগেভাগে আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করায় ইতোমধ্যে দ্বিগুণ পণ্যসামগ্রী দেশে এসে গেছে। এসব পণ্য বাজারে ছাড়া হলে কোন খাদ্য পণ্যের সঙ্কট তৈরি হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এক্ষেত্রে সরকারের কঠোর নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেয়ার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। কনজ্যুমার এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাবের মতে, দেশে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার পেছনে অসৎ ও অসাধু ব্যবসায়ীরা দায়ী। এদের শাস্তি হওয়া উচিত।