দেশের নাগরিক ও শিক্ষার্থীদের সহজে মহাকাশ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া এবং মহাকাশ বিজ্ঞান শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে আরও সাতটি নভোথিয়েটার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এজন্য ঢাকার বাইরে অন্য আরও সাতটি বিভাগে নভোথিয়েটার-প্ল্যানেটেরিয়াম নির্মাণ করছে। ঢাকার পর এই নভোথিয়েটারগুলো নির্মাণ করা হবে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, খুলনা, রংপুর এবং ময়মনসিংহে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এরই মধ্যে রাজশাহী বিভাগে নভোথিয়েটার স্থাপনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার, রাজশাহীর ভৌত অবকাঠামোগত কাজ ৬২ শতাংশ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া বরিশাল নভোথিয়েটারের প্রকল্পটিও একনেকে অনুমোদন করা হয়েছে। এ প্রকল্পের জন্য প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করা হয়েছে। করোনার কারণে কাজ কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। রংপুর নভোথিয়েটার প্রকল্পটিও শিগগিরই একনেকে যাবে। সিলেট, খুলনা, চট্টগ্রাম এবং ময়মনসিংহ নভোথিয়েটারের প্রকল্পগুলোর ডিপিপির (উন্নয়ন প্রকল্প ছক) কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। আশা করা হচ্ছে আগামী এক-দুই সপ্তাহের মধ্যেই একনেকে রংপুর নভোথিয়েটারের প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
রাজশাহী নভোথিয়েটারের নির্মাণকাজ গত বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মহামারীর কারণে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বরিশালে নভোথিয়েটার স্থাপনের লক্ষ্যে গত বছরের ৭ জানুয়ারি ডিপিপি একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। গত বছর জুনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে এজন্য প্রশাসনিক আদেশ জারি করা হয়। এ ছাড়া খুলনায় নভোথিয়েটার স্থাপনের লক্ষ্যে পুনর্গঠিত ডিপিপি গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) নায়মা ইয়াসমীন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রাজশাহী নভোথিয়েটারের অফিস ভবন ও প্ল্যানেটেরিয়াম নির্মাণের কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হবে। আশা করছি ২০২২ সালে রাজশাহী নভোথিয়েটার নির্মাণের কাজ শেষ হবে। অন্য নভোথিয়েটারগুলোর কাজও প্রক্রিয়াধীন। বরিশাল নভোথিয়েটারের জন্য স্থান চূড়ান্ত করা হয়েছে।