নিউজ ডেস্ক:
করোনা মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী ৫০০ কোটিরও বেশি ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ৪৭ লাখ ৪৪ হাজার ৩৫৮ ডোজ করোনা টিকা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারি সূত্রের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এএফপির তৈরি করা পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, বিশ্বব্যাপী টিকাদান কর্মসূচির গতি সঞ্চার হয়েছে। মানুষের বাহুতে প্রথম ১০০ কোটি টিকা দিতে প্রায় ১৪০ দিন সময় লাগলেও তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ১০০ কোটি দিতে ২৬ থেকে ৩০ দিন সময় লাগে। বিশ্বব্যাপী গড়ে প্রতি ১০০ বাসিন্দাকে ৬৪ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
৫০০ কোটি টিকার প্রায় ৪০ শতাংশ চীনে দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে ভারতে পাঁচ কোটি ৮৯ লাখ ও যুক্তরাষ্ট্রে তিন কোটি ৬৩ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের এই তিনটি দেশে অধিকাংশ টিকা দেওয়া হয়েছে।
১০ লাখের বেশি জনসংখ্যার দেশগুলোর মধ্যে জনগণকে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাত সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে। দেশটিতে প্রতি ১০০ বাসিন্দাকে ১৭৯ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এ হিসেবে দেশটির প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষকে পুরো দুই ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া উরুগুয়ের প্রতি ১০০ বাসিন্দাকে ১৫৪, ইসরাইলে ১৪৯, কাতারে ১৪৮, সিঙ্গাপুরে ১৪৭, বাহরাইনে ১৪৪, ডেনমার্কে ১৪৩, চিলিতে ১৪০, কানাডায় ১৩৯, পর্তুগাল ও বেলজিয়ামে ১৩৮, চীনে ১৩৬, স্পেনে ১৩৪, আয়ারল্যান্ডে ১৩৩ ও যুক্তরাজ্যে ১৩২ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৪৭ লাখ ৪৪ হাজার ৩৫৮ ডোজ করোনা টিকার প্রয়োগ হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ কোটি ৭৫ লাখ ৪২ হাজার ৩৯৪ এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৭২ লাখ ১ হাজার ৯৬৪ জন মানুষ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে আরও জানা গেছে, এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ১ কোটি ১ লাখ ২৬ হাজার ১৩০ আর নারী ৭৪ লাখ ১৬ হাজার ২৬৪ জন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৪৪ লাখ ২৮ হাজার ৪৯৫ আর নারী ২৭ লাখ ৭৩ হাজার ৪৬৯ জন।
এর মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড প্রয়োগ হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ৯৮ হাজার ৬৩৬ ডোজ। ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা প্রয়োগ হয়েছে ৯৫ হাজার ৩২৭ ডোজ। চীনের সিনোফার্মের টিকা প্রয়োগ হয়েছে ১ কোটি ৫ লাখ ৮২ হাজার ২৮২ ডোজ। আর মডার্নার টিকা প্রয়োগ হয়েছে ৩২ লাখ ৬৮ হাজার ১১৩ ডোজ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৪ হাজার ৬১০ জন করোনা টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে ৩ কোটি ৬০ লাখ ৮৩ হাজার ৯৮৮ এবং পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে ৪ লাখ ২০ হাজার ৬২২ জন নিবন্ধন করেছেন।