নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গণজমায়েতের স্থানে ৮৮২টি হ্যান্ড ওয়াশিং স্টেশন নির্মাণ করবে সরকার। দেশের ৩০ জেলার ৯৮ উপজেলায় এ হাত ধোয়ার স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া করোনা সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ এবং পারমর্শ সেবা দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘মানবসম্পদ উন্নয়নে গ্রামীণ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি’ শীর্ষক প্রকল্পটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্প এলাকায় ৮৮২টি হাত ধোয়ার স্টেশন নির্মাণ ছাড়াও ১ হাজার ৮৮২ কোটি ৫৯ লাখ টাকার এ প্রকল্পে বড় পরিসরে ৭৮টি এবং কমিউনিটি পর্যায়ে ৩ হাজার ৩৬৪টি পাইপলাইনে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, ৫০০টি কমিউনিটি ক্লিনিকসহ ৮৫২টি জায়গায় পাবলিক স্যানিটেশন ও হাইজিন সুবিধা দেওয়া হবে। এছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর টয়লেটে রানিং ওয়াটার সুবিধা প্রদান ৭৮০টি এবং অতি দরিদ্রদের জন্য ৩ লাখ ৫১ হাজার ২৭০টি টয়লেট নির্মাণ করা হবে।
২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের মেয়াদকালের এ প্রকল্পের মোট ব্যয়ের ৫০ কোটি ৮৩ লাখ সরকারের অর্থায়ন ও ১ হাজার ৮৩১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা বৈদেশিক ঋণ থেকে আসবে।
একনেকে রাজধানীতে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার স্থাপনে চলমান একটি প্রকল্পের পরিধি ও মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এ প্রকল্পে প্রিপেইড মিটার স্থাপন ২ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ ২০ হাজার করা হয়েছে। প্রকল্পের বিদ্যমান আওতা মহানগরীর ৩৪টি থানার স্থলে বাড়িয়ে ৪১টি করা হয়েছে। নতুন করে যাত্রাবাড়ী, বংশাল, গেন্ডারিয়া, লালবাগ, হাজারীবাগ, শাহবাগ ও নিউমার্কেট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রকল্পের সারসংক্ষেপে গ্যাসের প্রিপেইড মিটারের মাসিক ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ করার প্রস্তাব করা হয়। মিটার ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাবের কারণ হিসেবে বলা হয় মিটারের মূল্য ও আয়ুষ্কাল বিবেচনায় বর্তমানে নির্ধারিত মাসিক মিটার ভাড়া ৬০ টাকার স্থলে ১০০ টাকার প্রস্তাব করা হয়।
একনেক চেয়ারপারসন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার একনেকে ৩ হাজার ৩০৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকার ৫টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ২৪৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা, বৈদেশিক উৎস হতে ঋণ ২ হাজার ৪২ কোটি ৮ লাখ টাকা এবং বাকি ২০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় যুক্ত হন।