নিউজ ডেস্ক:
সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বিদেশের মাটিতে দেশের সুনামকে সমুন্নত রাখতে পেশাদারিত্বের সঙ্গে ও নিরলসভাবে কাজ করে যেতে সকল বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। গত দুই দিনে (শনিবার ও রবিবার) ইউনাইটেড নেশনস মিশন ইন সাউথ সুদান (ইউএনএমআইএসএস) ফোর্স হেডকোয়ার্টারস্ এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত সকল বাংলাদেশি কন্টিনজেন্ট পরিদর্শনকালে সেনাপ্রধান এই নির্দেশনা প্রদান করেন।
সেনাপ্রধান সকল পদবীর জন্য আয়োজিত দরবারে অংশ নেন এবং বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের প্রতি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। শত প্রতিকূলতার মাঝেও শান্তিরক্ষীরা সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ায় সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান তিনি। সেনাপ্রধান বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং তাদের খোঁজ খবর নেন।
শনিবার দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবাতে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন কোম্পানি-২১ এবং বাংলাদেশ রিজিওনাল প্রোটেকশন ফোর্স-৫ পরিদর্শন করেন সেনাপ্রধান। এ সময় মিশন এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে বাংলাদেশ কান্ট্রি সিনিয়র এবং কন্টিনজেন্ট কমান্ডারগণ সেনাপ্রধানকে অবহিত করেন।
ইউএনএমআইএসএস ফোর্স হেডকোয়ার্টারস্ পরিদর্শনকালে সেখানে ভারপ্রাপ্ত ফোর্স কমান্ডার মেজর জেনারেল মাইন উল্লাহ চৌধুরী এবং বিভিন্ন দেশের মিলিটারি স্টাফ অফিসারদের উপস্থিতিতে ফোর্স চিফ অব স্টাফ এবং চিফ মিলিটারি অবজারভার সেনাপ্রধানকে মিশন সম্পর্কে ব্রিফিং প্রদান করেন। ব্রিফিং শেষে তিনি ফোর্স হেডকোয়ার্টারস্ ঘুরে দেখেন এবং বিভিন্ন দেশের মিলিটারি স্টাফ অফিসারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
শনিবার সন্ধ্যায় সেনাপ্রধান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কন্টিনজেন্ট ফোর্স মেরিটাইম ইউনিট (ব্যানএফএমইউ)-৭ এ যান এবং তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
রবিবার ওয়াউতে নিয়োজিত বাংলাদেশ পদাতিক ব্যাটালিয়ন পরিদর্শন উপলক্ষে জাতিসংঘের বিমানে সেখানে পৌছান সেনাবাহিনী প্রধান। ওয়াউতে তিনি কন্টিনজেন্টের সকল পদবীর জন্য আয়োজিত দরবারে অংশ নিয়ে দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন ও তাদের খোঁজ-খবর নেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দক্ষিণ সুদানের সংস্কৃতি, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী মো. আলী গণি, ক্রীড়া বিষয়ক মহাপরিচালক গ্যব্রিয়েল সুসান এবং ক্লাবের ক্রীড়া পরিচালক রবার্টসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ওয়াউ অঞ্চলের হেড অব অফিস স্যাম কুরুটারো মুহুমুরে সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে হেড অফ অফিস সেখানে নিয়োজিত বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং মিশনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেন।